Jiban Krishna Saha: বিধায়কের ফোন উদ্ধারে পাড়ার তৃণমূল নেতাকেই পুকুর ছাঁচার দায়িত্ব দিল CBI
Jiban Krishna Saha: সূত্রের খবর, শাবলদাহ অঞ্চল সভাপতি সুকুমার প্রামাণিক ওরফে সাধন। স্থানীয় ঠিকাদার হিসাবেই কাজ করেন তিনি
মুর্শিদাবাদ: দেড় দিন পেরিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে চলছে সিবিআই (CBI) তল্লাশি। অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রমাণ মিটিয়ে ফেলতেই নিজের দু’টি মোবাইল সামনের পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। তবে নাছোর সিবিআইও। শ্রমিক নামিয়ে পুকুরের জল ছেঁচে একটি মোবাইল উদ্ধারও করেছে তারা। শুধু তাই নয়, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে দিয়েই পুকুর ছাঁচার কাজ করাচ্ছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, শাবলদাহ অঞ্চল সভাপতি সুকুমার প্রামাণিক ওরফে সাধন। স্থানীয় ঠিকাদার হিসাবেই কাজ করেন তিনি। তৃণমূল নেতা দাবি করেন যে, সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর কাছে শ্রমিক দেওয়ার কথা বলেন। সেই শ্রমিকদের দিয়েই পুকুর ছাঁচার কাজ চলছে। মোট দশজন শ্রমিক পুকুর ছাঁচার কাজ করছেন। এই বিষয়ে সাধনবাবু বলেন, “মোবাইল কোথায় পড়েছে জানি না। সাহেবদের নির্দেশে তারা যেই যেই জায়গগুলো আমাদের দেখাচ্ছেন সেই-সেই জায়গাগুলো আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। মোট দশজন লোককে নামিয়েছি।”
উল্লেখ্য়, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রীর গয়নার বাক্স থেকে ২টি পেনড্রাইভ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি লাগোয়া ঝোঁপ থেকে মিলেছে ৫টি ব্যাগ। ৩০০-র বেশি নিয়োগপ্রার্থীদের ছবি-সহ অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশনের নথি মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে চাকরির জন্য দেওয়া টাকাও। আরও বড় তথ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে ৩০০ কোটি লেনদেনের হিসাবের নথি মিলেছে। পাঁচটি ব্যাগে ঠাসা ছিল নিয়োগ প্রার্থীদের নথি। সূত্রের খবর, পাঁচটি ব্যাগ থেকে তিন হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গিয়েছে। ছবি দেওয়া অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, তিন হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থী মাথা পিছু ৬-১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। প্রাথমিকে ৬ লক্ষ টাকা, আর উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ১৫ লক্ষ টাকা মাথা পিছু প্রার্থীদের থেকে নেওয়া হয়েছে। এই গোটা টাকার অঙ্কটা একটা গড় হিসাব করলে বিষয়টা ৩০০ কোটির কাছাকাছিই দাঁড়াচ্ছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, কেবলমাত্র এই বিধায়কের মাধ্যমেই ৩০০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে।