Jibankrishna Saha Kuntal Ghosh: স্রেফ জীবনের কাছ থেকেই ৯০০ জনের বরাত পেয়েছিলেন কুন্তল, নিয়োগ দুর্নীতির বহর আর কত বড়?
Jibankrishna Saha Kuntal Ghosh: জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে কুন্তল যোগের তথ্য হাতে পেল সিবিআই। সূত্রের খবর, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিধায়ক জীবন সাহার। জীবন সাহা মারফত প্রায় ৯০০ জনের চাকরির বরাত এসেছিল কুন্তলের কাছে।
বড়ঞা: এবার জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে কুন্তল যোগের তথ্য হাতে পেল সিবিআই। সূত্রের খবর, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিধায়ক জীবন সাহার। জীবন সাহা মারফত প্রায় ৯০০ জনের চাকরির বরাত এসেছিল কুন্তলের কাছে। আপার প্রাইমারি, প্রাইমারি সব ধরনের প্রার্থীই আসতেন কুন্তলের কাছে। সিবিআই নজরে মুর্শিদাবাদের আরও এক বিধায়ক। একাধিকবার জীবন সাহার সঙ্গে কুন্তলের মিটিং হত বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিকের প্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হত ৬ লক্ষ টাকা, উচ্চ প্রাথমিকে ১৫ লক্ষ, সেই অঙ্কটা দাঁড়াত ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্তও। অর্থাৎ ৯০০ জনের কাছ থেকে যদি ১৫ লক্ষ টাকা করেও তোলা হয়, টাকার অঙ্কটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা ভাবাচ্ছে দুঁদে কর্তাদেরও।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে জীবনকৃষ্ণের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কুন্তলকে যে বরাত দেওয়া হয়েছিল, তার তালিকা হাতে পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। আর সেই সূত্র ধরেই জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণ সাহার অনেক এজেন্ট ছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে যে কেসগুলো পেতেন, তা তিনি কুন্তল ঘোষকে পাঠাতেন। সিবিআই প্রাথমিকভাবে তেমনটাই জানতে পেরেছে। সবটা মিলিয়ে কুন্তল-জীবন কানেকশনে এখন ফোকাস সিবিআই-এর।
সিবিআই জানতে পারছে, ৩০০ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ জীবনের বিরুদ্ধেই, শিকড় ছড়িয়ে কতদূর? ‘কীর্তিমান’ জীবনকৃষ্ণের হাত ধরেই কি মিলবে রাঘব বোয়ালের খোঁজ? টানা ৩২ ঘণ্টার তল্লাশির পর উদ্ধার হয়েছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার একটি মোবাইল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, জীবনের সেই মোবাইলের লুকিয়ে এই তদন্তের ‘জীবন’। কেন মোবাইলটা পুকুরে ফেলেছিলেন জীবন, তবে নিয়োগ দুর্নীতির ‘এপিসেন্টার’ কি লুকিয়ে সেখানেই? মাথার খোঁজেই নিয়োগ দুর্নীতির বৃত্ত ছোট করছে সিবিআই।