Hanskhali Physical Assault Case: নির্যাতিতার সঙ্গে প্রেম ছিল তার, সে কিছুই করেনি, হাঁসখালির ‘গণধর্ষণে’ মূল অভিযুক্ত কার দিকে আঙুল তুলল?

Hanskhali Physical Assault Case: প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ এবং প্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

Hanskhali Physical Assault Case: নির্যাতিতার সঙ্গে প্রেম ছিল তার, সে কিছুই করেনি, হাঁসখালির 'গণধর্ষণে' মূল অভিযুক্ত কার দিকে আঙুল তুলল?
'গণধর্ষণে' অভিযুক্তের বাড়ি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 11, 2022 | 11:49 AM

নদিয়া: বার্থ ডে পার্টি ছিল তাঁর। বান্ধবীর নিমন্ত্রণ ছিল। বাকি বন্ধুরাও এসেছিল। তবে মূল অভিযুক্ত অর্থাৎ তৃণমূল নেতার ছেলে নিজেই স্বীকার করেছে, নির্যাতিতার সঙ্গে তার প্রেম ছিল। সে কিছু করেনি বলেই দাবি করেছে মূল অভিযুক্ত। সোমবার ধৃতকে রানাঘাট আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে ঢোকার মুখেই মূল অভিযুক্ত সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বার্থডে পার্টি ছিল। কিন্তু আমি কিছু করিনি, আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, তাই পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করেছে।” নদিয়ার হাঁসখালিতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। গত সোমবারের ঘটনা। নির্যাতিতার মায়ের বয়ান অনুযায়ী, ওই রাতে গোপনাঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা হয় নাবালিকার। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। পরে মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃত ওই নাবালিকাকে তড়িঘড়ি শ্মশানে দেহ দাহ করে দেওয়া হয়। মুখ খুললে নাবালিকার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। গত শনিবার চাইল্ড লাইনের সহযোগিতায় হাঁসখালি থানার দ্বারস্থ হন ওই নাবালিকার মা। নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেবে রবিবারই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার রাতভর জেরা করা হয় তাকে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ এবং প্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

মৃত নির্যাতিতা কিশোরীর মা ও শ্মশানের দায়িত্বে যিনি ছিলেন, (যেই শ্মশানে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দাহ করা হয়েছিল কিশোরীর দেহ) তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। পাশাপাশি ঘটনার রাতে অর্থাৎ সোমবার রাত ন’টা নাগাদ স্থানীয় এলাকায় যে চিকিৎসকের থেকে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার মা, ডাক পড়েছে তাঁরও। সেই চিকিৎসকরেও গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। সোমবারই তাঁদের রানাঘাট আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে।

শ্মশান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ, কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াও দেহ দাহ করা হল? এক্ষেত্রে প্রমাণ লোপাট করতে কার নির্দেশ ছিল তার ওপর, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

অন্যদিকে, রবিবার রাতে মেয়ের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সময়ে যে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা, তাঁর সঙ্গেও কথা বলতে চান তদন্তকারীরা। পুলিশের অনুমান, চিকিৎসক নিশ্চয় রোগী দেখে বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে। তারপরও তিনি কেন রোগীকে ফেরত পাঠিয়েছিলেন, কেন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেননি। কেন পুলিশকেও বা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে গোটা বিষয়টি জানাননি। সেই চিকিৎসকেরও ভূমিকা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: চিকিৎসক-শ্মশান কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে! হাঁসখালি কাণ্ডে এবার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ

আরও পড়ুন:  Sealdah Bongaon Local Route: ষাঁড়কে সজোরে ধাক্কা মেরে খারাপ হয়ে গেল ট্রেনই! ‘নজিরবিহীন’ বিভ্রাট শিয়ালদা-বনগাঁ লাইনের শাখায়