Mahua Moitra: অসমে জন্ম, কলকাতায় পড়া, লন্ডনে চাকরি, বাংলায় রাজনীতি- জানেন মহুয়ার এত ‘রং’!
Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে একাধিকবার। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর দামি ব্যাগ নিয়েও। সব বিতর্কেই চাঁচাছোলা জবাব দিয়ে থাকেন মহুয়া। তবে বিতর্ক চরমে পৌঁছয় ২০২৩ সালের শেষের দিকে।
কৃষ্ণনগর: হাতে লুই ভিটনের ব্যাগ, চোখে কেতাদুরস্ত সানগ্লাস- বাংলার আর পাঁচজন রাজনীতিকের তিনি একটু আলাদা। তবে ভোটের ময়দানে যে তিনি রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক কাউকেই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন না, সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। খোদ নরেন্দ্র মোদী বাংলায় কৃষ্ণনগর থেকেই প্রচার শুরু করেছিলেন। কিন্তু ভোটবাক্সে তার কোনও প্রভাবই পড়েনি। অনায়াস জয় এসেছে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে। এমনকী ঘুষ-বিতর্কের কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কত ভোটে জিতলেন মহুয়া?
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের প্রাপ্ত ভোট ৬,২৮,৭৮৯। বিজেপি প্রার্থী তথা কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়ের থেকে ৫৬,৭০৫টি ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন মহুয়া।
লন্ডন-নিউ ইয়র্কে মোটা বেতনের চাকরি করতেন মহুয়া
অসমের বাঙালি পরিবারে জন্ম মহুয়ার। কলকাতার গোখেল মেমোরিয়াল কলেজের ছাত্রী মহুয়া অঙ্ক আর অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করতে চলে গিয়েছিলেন ম্য়াসাচুটেস। নিউ ইয়র্ক ও লন্ডনে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসেবে মোটা বেতনের চাকরি করতেন মহুয়া।
রাজনীতি শুরু রাহুল গান্ধীর হাত ধরে
২০০৯ সালে বিদেশি সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের চাকরি ছেড়ে ভারতে চলে আসেন মহুয়া মৈত্র। সেই রাজনীতির শুরু। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অন্যতম বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠেছিলেন সহজেই। এক বছরের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
কয়েক বছর ধরে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করার পর ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে প্রথম বিধায়ক হন মহুয়া। আর ২০১৯-এ কৃষ্ণনগরের সাংসদ হন সেই মহুয়া।
ঘুষ-বিতর্কে সংসদ ছাড়তে হয়েছিল মহুয়াকে
মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে একাধিকবার। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর দামি ব্যাগ নিয়েও। সব বিতর্কেই চাঁচাছোলা জবাব দিয়ে থাকেন মহুয়া। তবে বিতর্ক চরমে পৌঁছয় ২০২৩ সালের শেষের দিকে। অভিযোগ ওঠে, এক সংসদে এক বিশেষ প্রশ্ন করার জন্য ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন মহুয়া। সংসদীয় লগ ইন ক্রেডেন্সিয়ালও হিরানন্দানিকে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সংসদের এথিক্স কমিটি জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে বহিষ্কার করার পরামর্শ দেয়। সেই মতো মহুয়াকে বেরিয়ে যেতে হয় সংসদ থেকে। সেই ঘটনার তদন্ত চলছে এখনও।
তদন্তের সূত্রে কলকাতা, নদিয়ায় তল্লাশিও চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে এই সব তর্ক-বিতর্ককে আমল না দিয়েই মন দিয়ে প্রচার চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জয়ী হয়ে সংসদে ফেরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন মহুয়া। করেও দেখালেন সেটাই।