AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: ‘উদ্দেশ্যটা ভাল না, যা দেখে এলাম…’, কলকাতাকে কীভাবে দখলের ছক কষছে ওরা? ফ্লাইটে নয়, বাংলাদেশ থেকে কোনওক্রমে ভারতে ঢুকেই দিলেন ‘ক্লু’

Bangladesh: এক বাংলাদেশি সেখানকার ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, "এই ধরনের কথা তো বাংলাদেশে সমস্যা বাড়াচ্ছে। বর্তমান অবস্থা ভীষণ খারাপ। সব মুসলমানরা তো বলছে না। ওখানে একটা গোষ্ঠী এরকম করছে। শুনছি কলকাতা দখল করবে। এতে জটিলতা আরও বাড়ছে। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে সমস্যা আরও বাড়ছে ওখানে। ২০ জনের মধ্যে একজন ভালো থাকলে তো হবে না।"

Bangladesh: 'উদ্দেশ্যটা ভাল না, যা দেখে এলাম...', কলকাতাকে কীভাবে দখলের ছক কষছে ওরা? ফ্লাইটে নয়, বাংলাদেশ থেকে কোনওক্রমে ভারতে ঢুকেই দিলেন 'ক্লু'
ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন পালImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2024 | 2:43 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা:  ‘চার দিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেব…’ এই ধরনের বিক্ষিপ্ত কথা বলে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে পরিস্থিতি আরও জটিল করছে। মনে করছেন বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষজন। তবে কি বাংলাদেশ কোনও জটিল পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে? পেট্রাপোল পেরিয়ে ভারতে আসা বাংলাদেশীদের মুখে শোনা গেল আতঙ্কের কথা।

এক বাংলাদেশি সেখানকার ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, “এই ধরনের কথা তো বাংলাদেশে সমস্যা বাড়াচ্ছে। বর্তমান অবস্থা ভীষণ খারাপ। সব মুসলমানরা তো বলছে না। ওখানে একটা গোষ্ঠী এরকম করছে। শুনছি কলকাতা দখল করবে। এতে জটিলতা আরও বাড়ছে। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে সমস্যা আরও বাড়ছে ওখানে। ২০ জনের মধ্যে একজন ভালো থাকলে তো হবে না।”

বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন চিকিৎসা করাতে। ওপার বাংলার একজন সাধারণ গৃহবধূ। সীমান্তের সামনে দাঁড়িয়েই বললেন, “বাংলাদেশে থাকা যায় না। কলকাতা দখলের কথা বললেই কী হল নাকি। ওরা তো ভারতের কাছে শিশু। আতঙ্ক, উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। এটা কোনও রাষ্ট্রের পক্ষেই ভালো হচ্ছে না।”

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন পাল। তিনি বললেন, ‘ওঁদের উদ্দেশ্যটা ভালো না।’ পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “চোরা গুপ্ত ভাবে বাংলাদেশে চাঁদাবাজি হচ্ছে, ডাকাতি করছে। বিশেষ করে হিন্দুদের ঘরে। মেয়েরা বেরোতে পারছে না। বাজারেও যেতে পারছে না। চার দিনের মধ্যে কলকাতা দখলের হুমকি দিয়ে আসলে ওরা জটিলতা বাড়াচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যটা ভালো না। যা দেখলাম। ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে মনে করছে এসব করছে।”

বাংলাদেশে ক্রমেই বাড়ছে ভারত বিরোধিতা। এই পরিস্থিতিতে একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীরা রীতিমতো হুমকি দিচ্ছেন। কলকাতা দখল করে ভারতের মানচিত্র বদলে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত পেরিয়ে নিত্য ভারতে আসছেন অনেকে।  কিন্তু অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। মানুষ আতঙ্কে কথা বলতে সাহস পারছেন না। কিন্তু যাঁরা বলছেন, তাঁরা সাহস করেই বলছেন, এই বিক্ষিপ্ত বাগযুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। বন্ধ না হলে আরও বেশি জটিলতা বাড়বে।

শান্তি ফেরানোর জন্য বাংলাদেশের সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। কথা বলতে বলতে গিয়েও তাঁদের মুখে অসহায়তা ফুটে উঠছে। ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষজনের চোখ মুখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ভাল নেই।