Arjun Singh: পুজোর মুখে বন্ধ হল ব্যারাকপুরের কটন মিল, বাঁশ দিয়ে গেট আটকে বিক্ষোভ, কর্মহীন শ্রমিকদের পাশে অর্জুন
Arjun Singh: অর্জুন বলেন, "শ্রমিকের স্বার্থে রাজনীতি বাদ দিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে আসুন। নয়ত এই কারখানা শেষ হয়ে যাবে।"
ব্যারাকপুর: চলতি মাসে বন্ধ হয়ে যায় শ্যামনগরের অন্নপূর্ণা কটন মিল। তারপর থেকেই মিল খোলার দাবিতে নেমেছেন সেখানের কর্মরত শ্রমিকরা। শুধু তাঁরাই নন, তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। মিল খোলার দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হল কারখানার গেট। এরপরও যদি মিল খোলা না হয় মালিকের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক অর্জুনের।
বুধবার সকাল থেকেই কারখানার গেটে চলেছে বিক্ষোভ। মিলের যন্ত্রাংশ বাইরে থেকে কেউ যাতে পাচার করে দিতে না পারে সেই কারণে বাঁশ দিয়ে গেট বন্ধ করে রেখেছেন তাঁরা। প্রয়োজনে সারাদিন সারারাত জেগে পাহারা দিতেও রাজি শ্রমিকরা। কর্মরত এক শ্রমিক জানান, “আমাদের না জানিয়েই মিলটা বন্ধ করে দিল। ম্যানেজারকে প্রশ্ন করলাম স্যর মিল কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জানাল মিল চালু থাকবে। কিন্তু দেখলাম বন্ধ হয়ে গেল। এখন পুজো সামনে। এই এতজন শ্রমিক কোথায় যাবে এখন? মিল খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাংসদ। অর্জুন সিংয়ের উপর আমাদের ভরসা রয়েছে।”
মিলের শ্রমিকদের পাশে ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর দাবি শিল্পের জমিতে শিল্প হবে। অবিলম্বে মিল খুলতে হবে। আর এই নিয়ে সমস্ত ইউনিয়ন গুলিকে এক হয়ে লড়াইয়ের পরামর্শ দেন তিনি। অর্জুন বলেন, “শ্রমিকের স্বার্থে রাজনীতি বাদ দিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে আসুন। নয়ত এই কারখানা শেষ হয়ে যাবে।” মিলের মালিককে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “এখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনার রাজ্যে এইভাবে মিল বন্ধ করে জমি বিক্রি করা হবে এটা আমরা মুখ বুজে সহ্য করব না।”
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৮ তারিখ বন্ধ হয়ে যায় শ্যামনগর অন্নপূর্ণা কটন মিল। এরপর থেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মিলে কর্মরত ৫৩০ জন শ্রমিক। সামনেই আবার দুর্গাপুজো। আর পুজোর মরসুম চলে এলেও তাঁদের কোনও রকম বোনাস দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকী মাসের বেতনও দেয়নি মিল কর্তৃপক্ষ। উল্টে মিলের জমি বিক্রি করে দেওয়ারও চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।