Barrackpore: হাতে স্যালাইনের চ্যানেল, হাসপাতালের বেডেই জীবনের বড় পরীক্ষা সঙ্গীতার
Barrackpore: সঙ্গীতার মা গীতা পাসি বলেন, "টোটো ভাল গতিতেই ছিল। একদিকে মেয়ে বসেছিল, অন্যদিকে আমি। হঠাৎই করে দেখলাম মেয়ে রাস্তায় পড়ে গেল। রাস্তার লোকজন সকলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমারও ঘাড়ে, পায়ে লেগেছে। মেয়ে বমি করছিল। স্যালাইন দিতে হয়। মাথায় ব্যথা হচ্ছিল বলছিল।"
উত্তর ২৪ পরগনা: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে গুরুতর আহত হলেন খড়দহের এক ছাত্রী। টোটো থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত মাধ্যমিক ছাত্রী। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় খড়দহের বলরামপুর হাসপাতালে। সেখানেই পরীক্ষা দেয় সঙ্গীত পাসি নামে ওই ছাত্রী।
খড়দহের প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সঙ্গীতা পাসি। আজ শুক্রবার পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল সে। টোটোতে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। সেই সময় টোটো থেকে পড়ে যায়। মাথায় লাগে তার। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
উত্তর ২৪ পরগনার ডিপিএসসির চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার বলেন, “আমরা হাসপাতালে এসেছি। সঙ্গীতা এখন অনেকটা ভাল আছে। হাসপাতালেই ও পরীক্ষা দিচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে এর জন্য ধন্যবাদ জানাব।” এদিন উত্তর ২৪ পরগনার আরও দুই জায়গায় দুই পরীক্ষার্থী দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বলে জানান দেবব্রত সরকার। নিউ ব্যারাকপুরের এক পরীক্ষার্থী অক্সিজেন নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন বলে জানান তিনি। ডিপিএসসি সবরকম উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
সঙ্গীতার মা গীতা পাসি বলেন, “টোটো ভাল গতিতেই ছিল। একদিকে মেয়ে বসেছিল, অন্যদিকে আমি। হঠাৎই করে দেখলাম মেয়ে রাস্তায় পড়ে গেল। রাস্তার লোকজন সকলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমারও ঘাড়ে, পায়ে লেগেছে। মেয়ে বমি করছিল। স্যালাইন দিতে হয়। মাথায় ব্যথা হচ্ছিল বলছিল।”