Mamata Banerjee : মমতাকে ধন্যবাদ জানাতে ৭৫০ কিলোমিটার হাঁটছেন তৃণমূল সমর্থক, হেঁটে দিল্লি যাবেন যদি…
Mamata Banerjee : শঙ্কর ভট্টাচার্য জানান, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার হাঁটেন। রাতে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করে দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
উত্তর ২৪ পরগনা : রওনা দিয়েছেন জলপাইগুড়ির ডুয়ার্স থেকে। গন্তব্যস্থল কালীঘাট। প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার দূরত্ব। আর এই রাস্তা অতিক্রম করছেন হেঁটে। এই হাঁটা শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ধন্যবাদ জানানোর জন্য। ২৯ দিন ধরে তাই হাঁটছেন ডুয়ার্সের বাসিন্দা শঙ্কর ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়ে দিলেন, এতদিন ধরে হাঁটতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে না। নিজেকে দিদির অনুগামী, সমর্থক বলছেন। একইসঙ্গে নিজের পরবর্তী ইচ্ছের কথাও জানিয়ে দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে ডুয়ার্স থেকে হেঁটে দিল্লি যেতে চান শঙ্কর ভট্টাচার্য।
ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের বিন্নাগুড়ি পঞ্চায়েতের বিন্নাগুড়ি অঞ্চলে বাড়ি শঙ্কর ভট্টাচার্যের। বছর ছেচল্লিশের শঙ্করের মুদি দোকান রয়েছে। গত ১৫ জুন বাড়ি থেকে যাত্রা শুরু করেন তিনি। ২৮ দিনের মাথায় বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে এসে পৌঁছন। তিনি জানান, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার হাঁটেন। রাতে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করে দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
কিন্তু, হেঁটে কেন মমতার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন?
শঙ্কর বলেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ডুয়ার্সের উন্নতি হয়েছে। সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চান তিনি। তাই, হেঁটে বাড়ি থেকে কালীঘাট যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নিজেকে দিদির অনুগামী, সমর্থক বলতেই ভালবাসেন শঙ্কর। বলেন, “আমি তৃণমূলের নেতা কিংবা কর্মী নই। কোনও দলীয় পদে নেই। কোনও নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিনি।” ডুয়ার্স-সহ রাজ্যবাসীর কল্যাণে মুখ্যমন্ত্রী যে জনমুখী প্রকল্প করেছেন, তার জন্যই তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে পায়ে হেঁটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতায় পৌঁছবেন। সেখানে সমস্ত নিরাপত্তা জনিত পদক্ষেপ সেরে কালীঘাটে মমতার সঙ্গে দেখা করতে চান। তারপর ২১ জুলাই শহিদ সভায় উপস্থিত থাকবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কী বলবেন ?
শঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “ডুয়ার্স থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছি। ডুয়ার্সের মাটি শান্তির মাটি। সেই মাটি দিদিকে দিয়ে বলব, এই শান্তি যেন সবসময় থাকে। দিদি থাকলেই যা সম্ভব। দিদিকে বলব, আপনি থাকলেই পশ্চিমবঙ্গ সুরক্ষিত।”
আরও একটি ইচ্ছে রয়েছে শঙ্কর ভট্টাচার্যের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। আর যদি তৃণমূল সুপ্রিমো প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তবে তিনি পায়ে হেঁটে দিল্লি পাড়ি দেবেন।