Sundarban: নেই অবস্থার উন্নতি, বৃষ্টির জল পড়তেই তেজ বাড়ছে নদীগুলির, সব হারানোর আশঙ্কায় সুন্দরবন

North 24 Pargana: বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের সন্দেশখালি ১নং ব্লকের সেহছরা-রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট সেহেরা গ্রাম।

Sundarban: নেই অবস্থার উন্নতি, বৃষ্টির জল পড়তেই তেজ বাড়ছে নদীগুলির, সব হারানোর আশঙ্কায় সুন্দরবন
করুণ অবস্থা সুন্দরবনের (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2022 | 1:30 PM

সুন্দরবন: প্রতি বছর বর্ষা আসলে একই ছবি। বাঁধ ভাঙে। ফাটল দেখা যায়। আর তারপর ঢোকে জল। ভাসিয়ে নিয়ে যায় একের পর এক চাষ জমি। গৃহহীন হন প্রচুর মানুষ। কিন্তু তারপরও কি সেই ছবি বদলেছে? এ বছরের একই অবস্থা সুন্দরবনের মানুষগুলোর। ভরা কোটাল। তারপর পূবালী হাওয়ার জের। একাধিক বাঁধে ফাটল। দুশ্চিন্তা আর আশঙ্কার রাত জাগছে সুন্দরবনের মানুষ।

বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের সন্দেশখালি ১নং ব্লকের সেহছরা-রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট সেহেরা গ্রাম। সেই গ্রামের ডাঁসা নদী বাঁধে প্রায় এক কিলোমিটার নদী বাঁধ বিপর্যস্ত। এলাকার রায়মঙ্গল, কালিন্দী, ইছামতি, বেতনী ও কলাগাছি নদীর জলস্তর বেড়েছে। রীতমত ফুঁসছে নদীগুলি।

কোথাও নদী বাঁধে ফাটল, আবার কোথায় বড়-বড় ধস নেমেছে, আবার বাঁধের মাটি ঝরে পড়ছে। ভরা কোটালে নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভোলাখালী, নিত্যবেড়িয়া, রাধানগর, রায়পুর, ঘটিহারা ও পুঁটিমারি সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষের কপালে। জানা গিয়েছে, প্রায় দশ হাজার মানুষ এই দ্বীপে বসবাস করে। ভরা কোটালের জেরে তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছে এইসব অঞ্চলের গ্রামবাসীরা। যে কোনও সময় ভাঙনের কবলে পরতে পারে প্রান্তিক এই মানুষগুলি।

ছোট সেহেরা গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার নদী বাঁধের রাস্তা ও বাঁধ ধীরে ধীরে ডাসা নদী গিলে ফেলছে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, বারবার পঞ্চায়েতে বলেও কোনও ফল মেলেনি। তাঁরা নিজেরাই নিজের অর্থ দিয়ে বাঁধের কাজ করেছি। কিন্তু বড়সড়ো বিপর্যয় হলে এই বাঁধ রক্ষা করা যাবে না। সুন্দরবনবাসী তাই দ্রুত চাইছে এই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হোক, না হলে রক্ষা নেই।

এ দিকে, মাথার উপর দিয়ে আমফান ও ইয়াসের মতো বিপর্যয় চলে গিয়েছে। তাই নতুন করে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে চান না তারা। আবার হয়তো গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে উঁচু জায়গা স্কুল বাড়ি বা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে। বসিরহাট মহকুমা সেচ দপ্তরের আধিকারিক রানা চ্যাটার্জী বলেন, “বসিরহাট মহকুমায় মোট ৭৫০ কিলোমিটার নদী বাঁধ রয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ৩০ কিলোমিটার পাকা বাঁধ রয়েছে। আর যে কাঁচা বাঁধগুলির অবস্থা শোচনীয় সেগুলোকে চিহ্নিত করে ইতিমধ্যে বাঁশের পাইলিং মাটি ও সিমেন্টের বস্তা ফেলে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।”