R G Kar: ‘মেয়ে বলেছিল, বাবা জোর করে ওরা ওই অ্যান্টিবায়োটিকটা দিলই,’ আর মরে গেল, তদন্তের স্বার্থে চুপ থাকলেও রায়দানের আগের রাতে মেয়ের খুনের আসল কারণ বলেই দিলেন বাবা
R G Kar: TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে তিলোত্তমার বাবা বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন, "আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি, ভিপি একজন রোগীকে সেই ওষুধ দিয়ে মেরেও ফেলেছে। আমার মেয়ের মৃত্যুর কিছুদিন আগেই এটা হয়েছে। ওষুধের রিয়েকশনে রোগীটা মারা গিয়েছিল। আমার মেয়ে বাড়িতে এসে বলেছিল। বলেছিল, বাবা পেশেন্টটা খুবই গরিব ছিল।"
উত্তর ২৪ পরগনা: রাত পোহালেই আরজি কর কাণ্ডের সাজা ঘোষণা। আর ঠিক তার আগের রাতেই বোমা ফাটালেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তদন্তের স্বার্থে এতদিন সে তথ্যের কথা প্রকাশ্যে আনেননি। স্যালাইন কাণ্ডে প্রসূতি মৃত্যুতে যখন তোলপাড় রাজ্য, চিকিৎসকদের গাফিলতির তত্ত্ব খাড়া করেছেন স্বাস্থ্য়মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, তখনই ভেজাল ওষুধের প্রতিবাদ করাতেই খুন হতে হয়েছে মেয়েকে, দাবি করলেন তিলোত্তমার বাবা।
স্যালাইনকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছেন। তার মধ্যে ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসক। সে প্রসঙ্গে তিলোত্তমার বাবা-মা কথা বলছিলেন। আর তা বলতে গিয়েই বেরিয়ে এল সেই বিস্ফোরক তথ্য। তিলোত্তমার বাবা-মা দাবি করলেন, তাঁর মেয়েও এই ভেজাল ওষুধের কথা বলতেন। ভেজাল ওষুধের জন্য ওর আরজিকরের এক রোগী মৃত্যুর কথা বাড়িতে এসে বলেছিলেন তিলোত্তমা। আর সেটা হয়েছিল তিলোত্তমার ধর্ষণ খুন কাণ্ডের কিছুদিন আগেই। এই ভেজাল ওষুধের প্রতিবাদ করাতেই তিলোত্তমা খুন হয়েছে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করলেন তাঁর বাবা-মা।
TV9 বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে তিলোত্তমার বাবা বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি, ভিপি একজন রোগীকে সেই ওষুধ দিয়ে মেরেও ফেলেছে। আমার মেয়ের মৃত্যুর কিছুদিন আগেই এটা হয়েছে। ওষুধের রিয়েকশনে রোগীটা মারা গিয়েছিল। আমার মেয়ে বাড়িতে এসে বলেছিল। বলেছিল, বাবা পেশেন্টটা খুবই গরিব ছিল। তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিকটা দেওয়ার পর এমন অবস্থা হল, সারা শরীরে র্যাশ বেরিয়ে গেল। পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। তিন দিন পর মারা যায়। এই পেশেন্টকে নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ডও বসেছিল। আমার মেয়ে সে সময়েই বলেছিল। এটাই আমার মেয়ের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ভিপিও তথ্য প্রমাণ লোপাটে জড়িত।”
স্যালাইন কাণ্ডের ‘ভুল ড্রাগই’ দায়ী বলে দাবি করলেন তিলোত্তমার মা। বললেন, “এটা তো রাজ্য সরকারের দোষ, এখন ডাক্তারদের ওপর চাপানো হচ্ছে। হাসপাতালে কোনও রোগী ভর্তি হলে, এখন যেমন রোগীর বাড়ির লোকের টেনশন, ডাক্তারদেরও টেনশন, ভয়। ডাক্তাররা ভাবছে, কী ওষুধ দেব, তাতে কী বেরোবে! ভয় তো ওদেরও।”
কথা প্রসঙ্গেই তিলোত্তমার বাবা বললেন, “কালই এক জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, বলছিল, কাকু ডাক্তারি ছেড়ে দিয়ে মুদিখানার দোকান খুলে বসব। এসব কেন রিস্ক নেব?”
তিলোত্তমার মা বলেন, “আমার মেয়ে চেস্ট মেডিসিনে ছিল, সেখানেও এমন ওষুধ ছিল, তাতে রোগী মারা যেত। আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি, ভিপি একজন রোগীকে সেই ওষুধ দিয়ে মেরেও ফেলেছে। আমার মেয়ের মৃত্যুর কিছুদিন আগেই এটা হয়েছে।” স্যালাইনকাণ্ডে চিকিৎসকরা কোনওভাবেই দায়ী নন। স্যালাইনই একমাত্র কারণ, দাবি তিলোত্তমার বাবা-মায়ের।