Sandeshkhali woman: ‘থানা থেকে ফোন করেই যাচ্ছে…’, মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের দিনই কেন ডাকছে পুলিশ? প্রশ্ন সন্দেশখালির মহিলার
Sandeshkhali: মঙ্গলবার পিয়ালি দাস নামে এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বাড়িতে সন্দেশখালি থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে একটি কাগজে সই করে বলে। সেই কাগজে কী লেখা রয়েছে তা পড়ার সময়টুকু না দিয়েই কার্যত নাকি জোর করে সই নিয়ে চলে যান আধিকারিকরা। পরে আইনজীবীদের কাছ থেকে পিয়ালি জানতে পারেন, ১০ ফেব্রুয়ারি দায়ের হওয়া এক মামলায় তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করবে পুলিশ।
সন্দেশখালি: বুধবার বারাসতে সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সভায় প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা, সন্দেশখালিতে নির্যাতনের শিকার হওয়া বেশ কয়েকজন মহিলার। কিন্তু তার আগে মহিলাদের দাবি, তাঁদের সমন পাঠাচ্ছে পুলিশ। আজই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে থানায়। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎপ্রার্থী একাধিক মহিলা ঠিক তেমনটাই অভিযোগ করছেন।
মঙ্গলবার পিয়ালি দাস নামে এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বাড়িতে সন্দেশখালি থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে একটি কাগজে সই করে বলে। সেই কাগজে কী লেখা রয়েছে তা পড়ার সময়টুকু না দিয়েই কার্যত নাকি জোর করে সই নিয়ে চলে যান আধিকারিকরা। পরে আইনজীবীদের কাছ থেকে পিয়ালি জানতে পারেন, ১০ ফেব্রুয়ারি দায়ের হওয়া এক মামলায় তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করবে পুলিশ। সেই কারণেই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। পিয়ালির পর নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরও এক মহিলা জানালেন তাঁকেও ফোন করা হয়েছিল থানা থেকে। আজ তিনি থানায় হাজিরা দেবেন কি না জানার জন্য।
ওই মহিলা বলেছেন, “আমায় অনেকবার থানা থেকে ফোন করেছে। আমি ধরিনি। পরে যখন তুললাম জিজ্ঞাসা করল আপনি কখন আসবেন কাগজ নিয়ে? আমি জানালাম পরে যাব। ওনারা বললেন আজ আসবেন তো থানায়? আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি যাতে আমরা আজ দেখা করতে পারি সেই সুযোগ যেন করে দেওয়া হয়।”
এই দিকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ঠিক যেদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা কেন সেই দিনই থানায় সমন করা হচ্ছে? গতকাল গ্রামে একপ্রস্থ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন মহিলারা। পিয়ালি দাসের অভিযোগ, এলাকার মা-বোনদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার কথা ছিল। তার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁরা যাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে না পারেন, সেই কারণেই ৬ মার্চ তারিখেই তাঁকে থানায় ডাকা হয়েছে। তবে, এরপরও তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাবেনই বলে জানিয়েছেন পিয়ালিরা।
উল্লেখ্য, আজ বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় সন্দেশখালির পাঁচজন নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। এর আগেই এই মহিলারা অভিযোগ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভায় না যাওয়ার জন্য তৃণমূলের তরফ থেকে চাপ তৈরি করা হচ্ছে। যদিও, বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিধায়ক সুকুমার মাহাত জানিয়েছিলেন, বিজেপি-র লোকজন ভয় দেখিয়ে জোর করেই একপ্রকার প্রধানমন্ত্রীর সভায় নিয়ে যেতে চাইছেন তাঁদের। তবে মহিলারা চাইলে যেতেই পারেন। এত তৃণমূলের কোনও আপত্তি নেই।