Suicide: টেস্টে না বসেও বাড়িতে মাধ্যমিকের ‘প্রস্তুতি’, পরীক্ষা শুরুর আগের দিন চরম সিদ্ধান্ত ছাত্রীর

Suicide: পূর্ব শুলকুনি গ্রামের বাসিন্দা মদন মণ্ডলের মেয়ে রেখা। কিন্তু, কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন থেকে স্ত্রীকে নিয়ে ভিনরাজ্যে থাকেন। ঠাকুমা-দাদুর সঙ্গে গ্রামের বাড়িতেই থাকত তাঁদের মেয়ে। গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করত।

Suicide: টেস্টে না বসেও বাড়িতে মাধ্যমিকের 'প্রস্তুতি', পরীক্ষা শুরুর আগের দিন চরম সিদ্ধান্ত ছাত্রীর
শোকের ছায়া পরিবারে Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2024 | 11:51 PM

হাসনাবাদ: সবাই জানত টেস্ট পরীক্ষায় বসেছে। উত্তীর্ণও হয়েছে। মাধ্যমিকেও ভাল ফল করবে। আশাবাদী ছিল পরিবার। কিন্তু, প্রতীক্ষিত সেই মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের রাতেই আত্মঘাতী বছর ষোলোর মেয়েটা। ঘর থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। পাওয়া গেল সুইসাইড নোটও। স্পষ্ট লেখা, “বাবা-মা আমি তোমাদের মিথ্যা কথা বলেছি। আমি পরীক্ষা দিইনি। তাই এ কাজটা করা ছাড়া আর কিছু বুঝতে পারিনি। ও হ্যাঁ, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।” সঙ্গে আবার মায়ের ফোনের পাসওয়ার্ডও লেখা। 

বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদ থানার পূর্ব শুলকুনি গ্রামে। পুলিশ জানাচ্ছে মৃত ছাত্রীর নাম রেখা মণ্ডল (১৬)। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ওই নাবালিকা এই কাণ্ড করেছে বলে পরিবারের সদস্যদের অনুমান। এদিন বিকালে পরিবারের সদস্যরা ঘরের মধ্যে রেখাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তড়িঘড়ি তাকে নামানো হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এরপরই খবর যায় পুলিশ। 

খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে আসে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পূর্ব শুলকুনি গ্রামের বাসিন্দা মদন মণ্ডলের মেয়ে রেখা। কিন্তু, কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন থেকে স্ত্রীকে নিয়ে ভিনরাজ্যে থাকেন। ঠাকুমা-দাদুর সঙ্গে গ্রামের বাড়িতেই থাকত তাঁদের মেয়ে। গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করত। এবারই তার মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল। মেয়ের পরীক্ষার জন্য মা-বাবা বাইরে থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরেও আসেন। কিন্তু, মেয়ে যে শেষ পর্যন্ত এই কাজ করে ফেলবে তা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। শোকের ছায়া নেমেছে গোটা পরিবারে। 

শোকেরা ছায়া গোটা এলাকার পাশাপাশি রেখার স্কুলেও। হতবাক তাঁর বন্ধু-বান্ধবরাও। অনেকেই মনে করছেন, টেস্ট পরীক্ষার সময় থেকেই চাপে ছিল মেয়েটি। সে কারণেই পরীক্ষায় বসেনি। এখন মাধ্যমিক পরীক্ষা এসে যাওয়ায় ভয় আরও বাড়ে। তাই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। যদিও ইতিমধ্যেই বাড়ির লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।