Basirhat School: এক শিক্ষকের কাঁধে ভর করেই চলছে গোটা স্কুল, এভাবে আর কতদিন? প্রশ্ন তুলে তুমুল বিক্ষোভ বসিরহাটে
Basirhat School: বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে আরও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। এইভাবে পড়াশোনা করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। একই সুর অভিভাবকদের গলাতেও। তাঁদের দাবি, এভাবে পড়াশোনায় আদপে কিছুই শিখতে পারছেন তাঁদের সন্তানরা। ঘাটতি থাকছে পড়াশোনায়।
হিঙ্গলগঞ্জ: আগে ২ জন স্থায়ী শিক্ষক থাকলেও গতবছর নভেম্বর মাসের ৯ তারিখে চলে যান একজন। তারপর থেকে এক শিক্ষকের কাঁধেই গোটা স্কুলের দায়িত্ব। সঙ্গী শুধু একজন ক্লার্ক। এভাবে কতদিন চালানো যাবে পঠনপাঠন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এরইমধ্যে দ্রুত স্থায়ী শিক্ষকের দাবিতে ক্লাস বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন পড়ুয়ারা। ঘটনা বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানেই রয়েছে মাধবকাটি রমাপুর এফপি স্কুল। স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক বলতে শুধু মাত্র অমৃতেন্দু বিশ্বাস। তাঁর কাঁধে ভর করেই চলছে গোটা স্কুল। এমনিকে একা হাতে সব ক্লাস নিতে কালঘাম ছুটথে তাঁর। কিন্তু, কোনওকারণে তিনি স্কুলে না আসতে পারলে, বা কোনও অফিসিয়াল কাজে বাইরে গেলে সমস্যা আরও বাড়ছে।
অমৃতেন্দুবাবু বলছেন, ” আপাতত পাঁচটা ক্লাসের পড়ুয়াদের দুই ঘরে বসিয়ে ক্লাস নিচ্ছি। কোনও কারণে আমাকে অফিসের কাজে যেতে হলে স্কুল চালানোটা খুব সমস্যার হয়ে যাচ্ছে।” সূত্রের খবর, ৫টা ক্লাস মিলিয়ে স্কুলে রয়েছে মোট ৩৯ জন পড়ুয়া। শিক্ষকের অভাবে ধীরে ধীরে কমছে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা। স্কুলের অচলাবস্থা দেখে অনেক অভিভাবকই আর তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করছেন না। তাতে আরও বাড়ছে চিন্তা।
বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে আরও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। এইভাবে পড়াশোনা করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। একই সুর অভিভাবকদের গলাতেও। তাঁদের দাবি, এভাবে পড়াশোনায় আদপে কিছুই শিখতে পারছেন তাঁদের সন্তানরা। ঘাটতি থাকছে পড়াশোনায়। ঘটনায় চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনেরও। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ সুরজিৎ বর্মন বলেন, ” স্কুলটিতে শূন্য পদ তৈরি হয়েছে। শিক্ষা দফতরেও গোটা বিষয়টা জানানো হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”