TMC Councillor: রাস্তায় মারামারি করেছিলেন, পানিহাটির সেই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফের ‘দিদিগিরি’-র অভিযোগ
Allegation against TMC Councillor: মাস তিনেক আগে রাস্তায় এক যুবতীর সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন তৃণমূল এই কাউন্সিলর। তাঁর বাইকের সঙ্গে একটি স্কুটির ধাক্কা লাগার পর যুবতীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছিল কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়ের বিরুদ্ধে। পাল্টা কাউন্সিলরের চুলের মুঠি ধরে মারেন ওই যুবতী।

পানিহাটি: পানিহাটি পৌরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়ের বিরুদ্ধে ফের ‘দিদিগিরি’-র অভিযোগ। পৌরসভার বিনা অনুমতি ও নোটিসে ব্যবসায়ীর দোকানের সামনের সিমেন্টের স্ল্যাপ ভাঙা ও জলের পাইপ লাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ব্যবসায়ীকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় শোরগোল পড়তেই পৌরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই স্ল্যাপ ভাঙার অনুমতি দেওয়া হয়নি কাউন্সিলরকে। চাপে পড়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়।
মাস তিনেক আগে রাস্তায় এক যুবতীর সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন তৃণমূল এই কাউন্সিলর। তাঁর বাইকের সঙ্গে একটি স্কুটির ধাক্কা লাগার পর যুবতীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছিল কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়ের বিরুদ্ধে। পাল্টা কাউন্সিলরের চুলের মুঠি ধরে মারেন ওই যুবতী। প্রকাশ্যে এভাবে কাউন্সিলর সংঘর্ষে জড়ানোয় শোরগোল পড়ে এলাকায়। বিতর্কে ইতি টানতে পরে ওই যুবতীকে মিষ্টিমুখ করিয়ে কাছে টেনে নেন শ্রাবন্তী রায়।

মাস তিনেক আগেই রাস্তায় মারামারিতে জড়িয়েছিলেন কাউন্সিলর
এবার এক ব্যবসায়ীর দোকানের সামনের স্ল্যাব ভাঙার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। চিন্তারানি বারুই নামে ওই ব্যবসায়ীর স্বামী অমিত বারুই ২০১৬ সালে মারা গিয়েছেন। তারপর থেকে স্বামীর ইমারতী দ্রব্যের ব্যবসা করে ২ মেয়ে নিয়ে সংসার চালান চিন্তারানি। অভিযোগ, গত পরশুদিন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায় দলবল নিয়ে গিয়ে দোকানের সামনের ড্রেনের উপর সিমেন্টের স্ল্যাব ভেঙে দেন। পাশাপাশি জলের পাইপ লাইনও কেটে দেন বলে অভিযোগ। প্রশ্ন ওঠে, এলাকার অন্যান্য দোকান ও বাড়ির স্ল্যাব না ভেঙে ব্যবসায়ীকে কোনও নোটিস ছাড়া কীভাবে কাউন্সিলর জেসিবি দিয়ে এই সিমেন্টের স্ল্যাব ভাঙলেন ও জলের পাইপ কেটে দিলেন? স্ল্যাব ভাঙার সেই ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।
কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, “আমাকে কোনও নোটিস পাঠানো হয়নি। কাউন্সিলর লোকজন ও জেসিবি নিয়ে এসে ভেঙে দেন। এবং আমাকে বলেছেন জেসিবি দিয়ে স্ল্যাব ভাঙতে যত টাকা লাগবে, সেটা আমাকে দিতে হবে।”
ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল পড়তেই পানিহাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান সোমনাথ দে বলেন, “আমাদের কাছে একটা অভিযোগ এসেছে। আমি দেখছি। কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলেছি। জলের লাইন বিনা নোটিসে কাটা যায় না। তবে মনে হয়, জেসিবি দিয়ে কাজের সময় জলের লাইন কেটে গিয়েছে।” একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “ড্রেনের উপর কংক্রিটের স্ল্যাব করায় জলনিকাশি ব্যবস্থা ধাক্কা খাচ্ছে।”
ঘটনার নিন্দা করে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির উত্তর কলকাতা শহরতলির সভাপতি চণ্ডী রায় বলেন, “তৃণমূলের কাউন্সিলররা এখন রাজার মতো আচরণ করছেন। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর উপর দাদাগিরি করছেন। মানুষের বোঝা উচিত।”
অভিযোগ উড়িয়ে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায় বলেন, “সবার আগে ওই ব্যবসায়ী বলুন, পৌরসভার ড্রেনের উপর কংক্রিটের স্থায়ী কালভার্ট উনি কার অনুমতি নিয়ে করেছেন। উনি নিজে অবৈধভাবে ওই স্থায়ী কালভার্ট করেছেন। আমাদের ওয়ার্ডের শ্রমিকরা ওটা তুলতে পারে না। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ওই কালভার্টের তলাটা পরিষ্কার না করার ফলে জল জমছে। পুরো পলিস্তর জমে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই নিয়ে আমাকে বলেছেন। লিখিত দিয়েছেন।” এরপরই তাঁর দাবি, “কালভার্ট ভাঙার কথা উনি বলেছেন। জেসিবি দিয়ে ভাঙার কথাও উনি বলেছেন। জেসিবির জন্য যদি পয়সা লাগে, সেটাও উনি দেবেন বলেছেন।”
