Titagarh Death: টিটাগড়ের রাস্তায় TMC কর্মীকে গুলি, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু
Titagarh Firing: যদিও এই গুলি চালানোর ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দেনা-পাওনা সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
টিটাগড়: টিটাগড়ে (Titagarh) গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী। এদিন সকালে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন আনোয়ার আলি নামে বছর ৩০-এর ওই তৃণমূল কর্মী (TMC Worker)। টিটাগড়ের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে আলিহায়দর রোডের উপর তাঁর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। বাইকে চেপে এসে দুষ্কৃতীরা ওই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে চম্পট দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হল ওই তৃণমূল কর্মীর। ঘটনায় পর তড়ঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ সামিম এবং তাঁর স্ত্রী শবনম পারভিন। যদিও এই গুলি চালানোর ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দেনা-পাওনা সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, আনোয়ার আলি নামে ওই তৃণমূল কর্মীর সাইবার ক্যাফের ব্যবসা ছিল। এর পাশাপাশি মানি লেন্ডিং এবং আরও কয়েকটি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিল আনোয়ার। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ সুদের কারবার নিয়ে ঝামেলার জেরেই আনোয়ার আলির উপর হামলা হয়ে থাকতে পারে। সেই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে মহম্মদ শামিম ওরফে সানি ও তার স্ত্রী শবনম পারভিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মহম্মদ শামিমের অতীতে মোবাইল বিক্রির জন্য আনোয়ার আলির কাছে ৪ লাখ টাকা দেনা ছিল।
সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নামে শবনম পারভিন ফোন করে আনোয়ার আলিকে বাড়িতে ডেকেছিল। জানা যাচ্ছে, সেই টাকা ফেরত চাইছিল আনোয়ার। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, সেই টাকা নিয়েই আনোয়ারের সঙ্গে বিবাদ বেঁধেছিল সানি ও তাঁর স্ত্রী পারভিনের। তারপর আনোয়ার বাড়ি যাওয়ার পথেই তাঁর উপর চড়াও হয়ে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। পুলিশের সন্দেহ এই ঘটনার পিছনে সানি ও তার স্ত্রী শবনমের হাত রয়েছে।