Attack on Woman: রোজই পথকুকুরদের খাওয়ান মহিলা, হঠাৎই ঘিরে ধরল পাড়ার ক’জন, এরপর…
Kankinara: কাঁকিনাড়ার মাদ্রাল এলাকার বাসিন্দা সুজাতা বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বাড়ির সামনে পুরসভার রাস্তার ধারে পথকুকুরদের খাবার দেন।
উত্তর ২৪ পরগনা: কুকুরকে খাওয়াতে গিয়ে মার খেলেন এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, পাড়ার লোকজন তাঁকে মারধর করেন। এক ভদ্রলোকও তাঁর গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ভাটপাড়া থানায় অভিযোগও দায়ের করেন সুজাতা বিশ্বাস নামে ওই মহিলা। যদিও পাল্টা অভিযুক্তদের দাবি, এলাকায় মাছ, মাংসের ছাট ফেলে নোংরা করা হয়। তাতেই বাধা দেওয়ায় ওই মহিলা বাজে ব্যবহার করেন। তাতেই ঝামেলা। কাঁকিনাড়ার মাদ্রাল এলাকার বাসিন্দা সুজাতা বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বাড়ির সামনে পুরসভার রাস্তার ধারে পথকুকুরদের খাবার দেন। এরপর তা পরিষ্কারও করে দেন। তারপরও প্রতিবেশীরা খারাপ ব্যবহার করেন বলে দাবি সুজাতা বিশ্বাসের।
সুজাতার কথায়, “দু’পাশে আমার পুরসভার রাস্তা। রাস্তার কুকুরকে আমি রোজ খেতে দিই। শুধু খেতে দেওয়াই নয়, চিকিৎসা, স্যালাইন যা লাগে আমি ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে করি। আট বছর হয়ে গেল ওদের খেতে দিই। কিন্তু এখন এই আপত্তি। সেদিন রাতে খেতে দিতে গেছি তখন ঝামেলা শুরু করেছে। উনি আরেক পরিবারের লোক ডেকে এনেছে। বুঝতেই পারি কী করতে চলেছে। আমি ফোনের ভিডিয়োটা চালু করি। এরপরই এক ব্যক্তি এসে আমাকে ধাক্কা মেরে বলছে ফোন বন্ধ কর। আমি রাজি হইনি। তাঁর বউ এরপরই আমার হাত চেপে ধরে। আমার ফোনটা কেড়ে নেয়। এরপরই ছ’জন আমাকে মারে।”
অন্যদিকে এলাকারই বাসিন্দা সন্দীপ দে বলেন, “মুরগির ছাট, মাছের ফেলে দেওয়ার অংশগুলো এনে ড্রেন ভরান। কুকুরকে খেতে দেন, জায়গাটা নোংরা করেন। কিন্তু জল দিয়ে ধুয়ে দেন না। দিনের পর দিন এক ঘটনা। গন্ধে বাড়িতে টেকা যায় না। এনিয়েই শুক্রবার এক কথা দু’ কথায় হাতাহাতি হয়েছে দুই মহিলার মধ্যে। মাকে মারছিল দেখে ছেলেটা ঠেকাতে যায়। একজন বয়স্ক লোকও গিয়েছিলেন। কিন্তু মারধরের কোনও কথাই নেই।”