Asansol: ECL-র খোলামুখ খনি থেকে উদ্ধার ২ দেহ, মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা
Asansol: পুলিশ জানায়, তারা মৃতদেহ দুটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন। মৃত্যু খনিতে হয়েছে না, অন্য কোথাও ? না বাড়িতে জানা নেই। তিনি তদন্তের দাবি করেন। এরপর কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান অগ্নিমিত্রা পল। দুটি মৃতদেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আসানসোল: খবর রটে যায় ইসিএলের খোলামুখ খনিতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। মৃতের নাম রাজেশ তুরি ও বিনোদ ভুইঞা। তবে পরিবারে লোকজনের দাবি তারা প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দুর্ঘটনা শিকার হয়েছেন। এই খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল রানিগঞ্জের আমরাসতা এলাকায় যান ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সমবেদনা জানান। জানা গিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে রাজেশ তুরির স্ত্রী রিনা তুরি গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিমিত্রা প্রথমে দাবি করেন, ওঁরা রাতে কয়লা আনতে গিয়ে চাপা পড়ে মৃত্যু গিয়েছে। পরিবারের লোক ভয়ে মুখ খুলছেন না। তবে তাঁদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে তিনি বিজেপির বিধায়ক হলেও ইসিএলকেই চাপ সৃষ্টি করবেন।
খবর এসেছিল ইসিএলের খনিতে বেআইনিভাবে কয়লা কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই দু’জনের। অগ্নিমিত্রা সেখানে যান। কিন্তু দেখা যায় ঘটনার কথা কেউ স্বীকার করছেন না। এরপর সেখান থেকে বাঁশরায় এজেন্ট অফিসে যান অগ্নিমিত্রা পল। সেখানে দেখা যায় আগে থেকেই তৃণমূল এবং সিপিএম পতাকা নিয়ে হাজির ক্ষতিপূরণের দাবিতে।অগ্নিমিত্রাকে দেখে তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।
অগ্নিমিত্রা পাল সেখান থেকে বেরিয়ে যান কুনুস্তরিয়া এরিয়া অফিসে। এরিয়া জিএমকে তিনি অভিযোগ করেন, কেন বারবার এই দুর্ঘটনা ঘটছে ? খনিতে এরিয়া জিএম অনিল সিং পাল্টা অগ্নিমিত্রাকে বলেন, “কেন খনি এলাকায় বহিরাগতরা ঢুকে পড়ছেন ? সেখানে নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মানছেন না স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। উদ্দেশ্য কয়লা চুরি করা। এরিয়া অফিস থেকে অগ্রিমিত্রা এবার চলে চলে যান রানিগঞ্জ থানার আওতায় আমরাসতা ফাঁড়িতে। পুলিশের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।
পুলিশ জানায়, তারা মৃতদেহ দুটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন। মৃত্যু খনিতে হয়েছে না, অন্য কোথাও ? না বাড়িতে জানা নেই। তিনি তদন্তের দাবি করেন। এরপর কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান অগ্নিমিত্রা পল। দুটি মৃতদেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই মৃতদেহ দুটি একেবারে কালি মাখা। সেক্ষেত্রে খনিতে পড়েই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে যান। তিনিও দাবি করেন, কয়লা খনিতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। তিনিও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। ইসিএল যেন খনিগুলো সুরক্ষিত রাখে বা ফেন্সিং দেয় তারও দাবি তোলেন।
একদিন আগেই এই রানীগঞ্জে বেঙ্গল পেপার মিল বন্ধের জন্য সিটুর সঙ্গে অগ্নিমিত্রা পালকে এক মঞ্চে দেখা যায় আন্দোলন করতে। আজ আবার ফের উলট-পূরণ।দেখা গেল অগ্নিমিত্রাকেই পাল্টা স্লোগান দিচ্ছে সিটু।আজ সিপিএম তৃণমূল এক হয়ে যান সেই রানিগঞ্জে।