Durgapur: বাসে বসে ৫ টাকায় খান ডাল-ভাত-ডিম, দুপুর ১২টা বাজলেই জমছে ভিড়
Durgapur: বাসের ভিতরে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বেঞ্চ ও টেবিল। বাসটির পাশে একটি শেড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে রান্না করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁরাই খাবার পরিবেশন করেন।
দুর্গাপুর : ১৫ বছরের আয়ু শেষ হওয়ার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস। কাটাই হয়ে লোহার দামে বিক্রি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল বাসটির। কিন্তু সেই বাস এখন স্থান পেয়েছে দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ডের একটি কোণায়। বাসটিকে দূর থেকে দেখে অনেকে এগিয়ে যান। কিন্তু সামনে গেলেই ভুল ভাঙে।
বাসে রুট নম্বরের বদলে লেখা রয়েছে ‘মা ক্যান্টিন’। ভিতরে পাতা রয়েছে বেঞ্চ ও টেবিল। জানা গিয়েছে, বিশেষ এই মা ক্যান্টিনের উদ্বোধন হয় ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর। প্রথমে লোকজন তেমন যেতেন না। যত দিন যায় তত এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এখন দুপুর সাড়ে ১২টা বাজলেই ভিড় জমে যায়। বাসে ওঠার মূল দরজা ও চালকের দরজা সিল করে দেওয়া হয়েছে। পিছনের অংশ কেটে তৈরি করা দরজায় ওঠার জন্য রয়েছে একটি সিঁড়ি।
বাসের ভিতরে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বেঞ্চ ও টেবিল। বাসটির পাশে একটি শেড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে রান্না করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁরাই খাবার পরিবেশন করেন। পাঁচ টাকার বিনিময়ে মেলে ভাত, ডাল, সব্জি ও ডিমের ঝোল। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জন মধ্যাহ্নভোজ সারেন এই ক্যান্টিনে।
বাসের মধ্যে ‘মা’ ক্যান্টিনের ভাবনা কীভাবে এল, সেই প্রসঙ্গে দুর্গাপুর নগর নিগমের মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এনইউএলএম (ন্যাশনাল আরবান লাইভহুডস মিশন) বিভাগের প্রস্তাবে এসবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডলের কাছে বাতিল একটি বাস দেওয়ার জন্য আবেদন করে নগর নিগম। তিনিই এই বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল জানিয়েছেন ১৫ বছরের পুরোনো একটি বাস দেওয়া হয়েছে। এই বাস আর রাস্তায় চালানো যাবে না। কেটে ফেলতে হত। এখন একটি ভাল কাজে বাসটির ব্যবহার হচ্ছে।