ভোটের মুখে বদলি ‘দাবাং’ জেলাশাসক, আরও দুই আধিকারিককে সরাল কমিশন
২০১৯ সালে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক থাকাকালীন একটি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নিখিল নির্মল। স্ত্রীকে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে ফালাকাটা থানার ভিতরে ঢুকে অভিযুক্তকে মারধর করেছিলেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ: ভোটের আগেই আরও একপ্রস্ত আধিকারিক বদল করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এবার দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক তথা জেলা মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক নিখিল নির্মলকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তাঁর পরিবর্তে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ২০০৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার সি মুরুগানকে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় ২ বছর ধরে জেলাশাসকের দায়িত্বে ছিলেন নিখিল নির্মল। দায়িত্ব সহকারে জেলার গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলেছেন। তবে জেলা বিজেপির তরফে বিভিন্ন সময় জেলাশাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি নির্বাচন ঘোষণার আগেই এই জেলাশাসকে বদলির নির্দেশ আসে। পরে তা পরিবর্তন করে ফের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলারই দায়িত্বে রাখা হয় নিখিল নির্মলকে। তবে এদিন ফের তাঁর বদলির নির্দেশ আসে। কিন্তু ঠিক কী কারণে জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে কমিশন সরিয়ে দিচ্ছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায় নি। এনিয়ে সাংবাদিকের সামনে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক থাকাকালীন একটি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নিখিল নির্মল। স্ত্রীকে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে ফালাকাটার থানার ভিতরে ঢুকে অভিযুক্তকে মারধর করেছিলেন নিখিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর নিখিল নির্মলকে ছুটিতে পাঠিয়েছিল নবান্ন।
কেরলের কোচির বাসিন্দা নিখিল নির্মল ২০০৯ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৩৭২ তম স্থান অধিকার করেছিলেন। তার আগে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর করেছিলেন তিনি। রয়েছে আইনের স্নাতক ডিগ্রিও। ২০১৮ সালে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের দায়িত্ব পান তিনি। তার আগে অবিভক্ত আলিপুরদুয়ার, উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসকের পদ সামলেছেন। সামলেছেন বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসকের দায়িত্বও। এহেন নিখিল নির্মলকে চতুর্থ দফা ভোটের আগে সরিয়ে দিল কমিশন।
আরও পড়ুন: ‘নরেন ও নরেন…’ ‘দিদি ও দিদি’র পাল্টা দিলেন অনুব্রত
এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের দু’জন জেলাশাসককেও বদলি করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক এনানুর রহমানকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হচ্ছে ২০০৯ ব্যাচের আইএএস শিল্পা গৌরিসরিয়া। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের পদ থেকে পূর্ণেন্দু কুমার মাজিকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ২০০৭ ব্যাচের আইএএস অনুরাগ শ্রীবাস্তব।