Anubrata Mondal: অনুব্রতর কি ফিসচুলা ফেটে রক্তপাত হচ্ছে? দেখে কী বলছেন চিকিৎসকরা

Anubrata Mondal: শুক্রবার আসানসোল আদালতে অনুব্রত মণ্ডল নিজেই জানিয়েছিলেন ফিশচুলার সমস্যা বেড়েছে তাঁর। রক্তপাতও হচ্ছে। তারপরই চিকিৎসা করানোর কথা বলেন বিচারক।

Anubrata Mondal: অনুব্রতর কি ফিসচুলা ফেটে রক্তপাত হচ্ছে? দেখে কী বলছেন চিকিৎসকরা
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল অনুব্রতকে (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2023 | 3:07 PM

আসানসোল : ফিসচুলার সমস্যা কষ্ট দিচ্ছে, একথা শুনেই চিকিৎসায় জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক। সেই মতো শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত যেতে চাননি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) নিজেই। শনিবার সকালেই তাঁকে জেল থেকে নিয়ে যাওয়া হল আসানসোল হাসপাতালে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলল পরীক্ষা-নিরিক্ষা। অনুব্রতর সব রকমের শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। তবে, কোনও কঠিন শারীরিক সমস্যা দেখতে পাননি চিকিৎসকেরা। ফলে পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে আবারও জেলে ফেরত যান কয়লা-কাণ্ডে অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

এদিন জেল থেকে বেরনোর সময় প্রতিদিনের মতোই তাঁকে ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা। তবে এদিন কোনও কথাই বলেননি অনুব্রত। চুপচাপ গাড়িতে উঠে যান তিনি। শারীরিক নাকি মানসিক চাপেই কি এত চুপচাপ অনুব্রত? তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল দাস জানান, অনুব্রতর রক্তচাপ ছিল ১০৬/৮০। পালস রেট- ৮২, অক্সিজেন মাত্রা– ৯৬ শতাংশ, ওজন ৯৫ কেজি। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় ওজন ছিল ৯১ কেজি। অর্থাৎ কয়েকদিনের মধ্যে ৪ কেজি ওজনও বেড়েছে তাঁর।

আর ফিসচুলার সমস্যা? হাসপাতালের সুপার জানান, যে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করেছেন, তাঁরা লিখে দিয়েছেন কোনও এমারজেন্সি নেই। অর্থাৎ ফিসচুলা নিয়ে তেমন কোনও উদ্বেগের কারণে আছে বলে মনে করছেন না চিকিৎসকেরা। ইসিজি সহ সব পরীক্ষাই করা হয়েছে তাঁর।

গত বৃহস্পতিবারই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে সিবিআই আদালত। সেই মতো শুক্রবারই তাঁকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরে কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রতর করা মামলার শুনানি না হওয়ায় শুক্রবার দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়নি তাঁকে। পরে সন্ধ্যায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চায় জেল কর্তৃপক্ষ। সবরকম প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই নাকি বেঁকে বসেন তিনি। বলেন, ‘আমি যাব না।’ তাই শনিবার সকালেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।