Ghatal Flood: নৌকা-ডিঙির সেই চেনা ছবি ঘাটালে, আরও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি
Ghatal Flood: আজ শুক্রবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার প্রশ্ন উঠেছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে। বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও যে প্ল্যান বাস্তবায়িত হয়নি।

ঘাটাল: বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘাটালে। নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে একাধিক এলাকা। ঘাটালের বরদা থেকে মাংরুল যাওয়ার পথে রাজ্য সড়কের ওপর উঠেছে জল। ঘাটাল থানার সামনেও জল। কৃষি জমি জলের তলায়। যাতায়াতের মাধ্যম এখন নৌকা বা ডিঙি। নতুন করে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শিলাবতী নদীর জলেই প্লাবিত হয়েছে এলাকা। প্রশাসন সূত্রে খবর, আজ শুক্রবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
এই পরিস্থিতিতে আরও একবার প্রশ্ন উঠেছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে। বারবার সেই মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের প্রতিশ্রুতি দেয় সব রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু সেই পর্যন্তই ইতি। ভোট মিটে গেলে আর নেতাদের দেখা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ।
গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে ঘাটালের শিলাবতী নদী ও মনসুকার ঝুমি নদীতে বেড়েছে জল। ঘাটাল পুরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ড, মনসুকা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ও অজবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রাম জলের তলায়। স্বাভাবিকভাবেই পুজোর মুখে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাটালবাসী।
১৯৮২ সালে সিপিএম ক্ষমতায় থাকাকালীন সেচ মন্ত্রী প্রভাস রায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের শিল্যানাস করেন, তারপর কয়েক দশক কেটে গিয়েছে। এখনও ঘাটাল আছে সেই তিমিরেও। কার্যকরী হয়নি ঘাটার মাস্টার প্ল্যান। তারপর থেকে ভোট আসলেই শোনা যায় প্রতিশ্রুতি। ভোট মিটলেই সব শেষ। যদিও এ বিষয়ে একে অন্যের দিকে আঙুল তুলছে তৃণমূল ও বিজেপি।





