Bardhaman: চোলাইয়ের হাঁড়ি বগলদাবা করে পাঁইপাঁই ছুট বৃদ্ধের, ঝাঁপালেন খালে, তারপর…
Bardhaman: এলাকাবাসীর দাবি, শুক্রবার যখন বছর ৬২-র গণেশ মল্লিক নামে এক বৃদ্ধ চোলাই বিক্রি করছিলেন বলে অভিযোগ। তবে আবগারি দফতরের কর্মীরা হানা দিতেই ওই বৃদ্ধ পালাতে যায়। সঙ্গে থাকা চোলাইয়ের হাঁড়ি নিয়ে ডিভিসি-র সেচখালে ঝাঁপ দেন তিনি।
বর্ধমান: কী কাণ্ড! রমরমিয়ে বেচছিলেন চোলাই মদ। আয় মন্দ হচ্ছিল না। তবে তাতেই পড়ল ভাটা। রাত্রিবেলা আবগারি দফতর হানা দিতেই প্রাণ বাঁচিয়ে ছুট দিলেন বৃদ্ধ। সঙ্গে যদিও চোলাইয়ের হাঁড়ি নিয়ে যেতে ভোলেননি। সেই হাড়ি নিয়ে সেচখালে ঝাঁপ দিলেন বৃদ্ধ। যদিও, তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ মিলছে না। শুক্রবার রাত্রিবেলা পূর্ব বর্ধমানের ফকিরপুরে তল্লাশি অভিযানে যায় আবগারি দফতরের কর্মীরা।
এলাকাবাসীর দাবি, শুক্রবার যখন বছর ৬২-র গণেশ মল্লিক নামে এক বৃদ্ধ চোলাই বিক্রি করছিলেন বলে অভিযোগ। তবে আবগারি দফতরের কর্মীরা হানা দিতেই ওই বৃদ্ধ পালাতে যায়। সঙ্গে থাকা চোলাইয়ের হাঁড়ি নিয়ে ডিভিসি-র সেচখালে ঝাঁপ দেন তিনি। তবে গণেশ একা নয়, কৃষ্ণা সাও নামে আরও এক মহিলাও ঝাঁপ দিয়েছেন খালের জলে।
প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্তর খোঁজাখুঁজি করেও উদ্ধার করতে পারেননি। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ ও বর্ধমান সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা স্পীডবোর্ড নিয়ে তল্লাশি চালায়। এরপর শনিবার সকালে দুর্গাপুর থেকে ডুবুরি নিয়ে এসে তল্লাশী চালাচ্ছে প্রশাসন।
কৃষ্ণা সাওয়ের বাড়ি রথতলার পদ্মপুকুর এলাকার। এলাকাবাসী বলেছেন, ফকিরপুরের ডিভিসি সেচখালের পাশে চোলাই বিক্রি করত এরা। আচমকাই আবগারি দফতরের লোকজন হানা দেওয়ায় এরা ভয়ে পাশের ক্যানেলে ঝাঁপিয়েছে।