Burdwan: ‘পিটিয়ে হাত-পা ভাঙব, পুলিশের কর্তব্য হাসপাতালে ভর্তি করানো’, বিজেপিকে চরম হুঁশিয়ারি TMC নেতার
Burdwan TMC Leader: মঞ্চ থেকেই বামদেব বলেন, "এই জায়গায় বসে এই চক্রান্ত যদি করো, আর তা যদি আমাদের কানে আছে। আমাদের নজর আছে, সে বিজেপি করে কী অন্য কোনও দল করে, আমি দেখব না, সে সমাজবিরোধী, সেটা হিসাবেই গণ্য হবে। তাঁকে গাছে বেঁধে রেখে দেওয়া হবে পুলিশে নিয়ে যাবে। পিটিয়ে ঠান্ডা করে দেবো।"

বর্ধমান: বেলাগাম তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। বিজেপি নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে গাছে বেঁধে রাখার হুঁশিয়ারি দিলেন পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বামদেব মণ্ডল। মঙ্গলবার দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রায়নার শ্যামসন্দুর বাজারে মিছিল হয় তৃণমূল কংগ্রেসের। মিছিল শেষে ব্লক তৃণমূল সভাপতি বামদেব মণ্ডল বিজেপি নেতাদের উদ্দেশে যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
মঞ্চ থেকেই বামদেব বলেন, “এই জায়গায় বসে এই চক্রান্ত যদি করো, আর তা যদি আমাদের কানে আছে। আমাদের নজর আছে, সে বিজেপি করে কী অন্য কোনও দল করে, আমি দেখব না, সে সমাজবিরোধী, সেটা হিসাবেই গণ্য হবে। তাঁকে গাছে বেঁধে রেখে দেওয়া হবে পুলিশে নিয়ে যাবে। পিটিয়ে ঠান্ডা করে দেবো।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনও বিজেপির নেতা কোনও বিজেপির চামচা, বিজেপির কোনও ক্যাডার যদি এখানে সাম্প্রতিকতার বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করে, কাউকে যদি বাংলাদেশি বলে, তাঁদের অত্যাচার করে, তার হাত কিন্তু আমি প্রকাশ্যে প্রশাসন ও পুলিশের সামনে পিটিয়ে ভেঙে দেব। গাছে বেঁধে পিটাব।” তাঁর আরও ভয়ঙ্কর বক্তব্য, “এরপর পুলিশের কর্তব্য তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো।”
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রকাশ্য এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়ে এই ধরনের মন্তব্য করছে। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “ভয়ে দিশেহারা হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত অপমান করছে তৃণমূল, তারা বিজেপির জেলা সভাপতিকে মারধর করছে।” রায়না ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতিকে সিপিএমের হার্মাদ বলেও কটাক্ষ করেন মৃত্যুঞ্জয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে ‘পুশব্যাক’ বঙ্গ রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য সে রাজ্যের পুলিশের কাছে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। পরে তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে পুশব্যাকেরও অভিযোগ উঠেছে। যদিও রাজ্য পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তাঁদের ফিরিয়েও এনেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতার এহেন বক্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
