Debangshu Bhattacharya: ‘আমি কোনও তফাত দেখতে পাই না..’ জুনিয়র চিকিৎসকদের মাওবাদীদের সঙ্গে তুলনা দেবাংশুর
Debangshu Bhattacharya: তিলোত্তমার বিচার চেয়ে হাসপাতালে নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে অনশন আন্দোলনে সামিল হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে, তাঁদের দাবি মানা না হলে মঙ্গলবার সরকার-বেসরকারি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ধর্মঘট ডাকা হবে।
বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় সারের দাম নিয়ে প্রশ্ন করায় ‘মাওবাদী’ তকমা জুটেছিল। গ্রেফতারও হয়েছিলেন। ঝাড়গ্রামের সেই শিলাদিত্য চৌধুরীর হোক কিংবা কামদুনিতে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে থাকা ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা, যাঁরা পেয়েছিলেন মাওবাদী তকমা! প্রতিবাদীদের ‘মাওবাদী’ দাগিয়ে দেওয়ার কাঁটা রয়েছে আগেই। এবার জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মাওবাদদীদের তুলনা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য।
রবিবার দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি আব্দুল লালনের ডাকে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন তিনি। গেঁড়াই স্কুল চত্বরের মাঠে তখন উপস্থিত ছিলেন, সাংসদ অসিত মাল, বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহাররা। সে সময় চিকিৎসক আন্দোলন সম্পর্কে বলতে গিয়ে দেবাংশু বললেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের আবদার আমাদের দাবি না মানলে মানুষ মারা শুরু করব। চিকিৎসা বন্ধ রাখা মানে তো মানুষ মারা। তাহলে আমি তো জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে মাওবাদীদের কোনো তফাত দেখি না।”
প্রসঙ্গত, তিলোত্তমার বিচার চেয়ে হাসপাতালে নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে অনশন আন্দোলনে সামিল হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে, তাঁদের দাবি মানা না হলে মঙ্গলবার সরকার-বেসরকারি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ধর্মঘট ডাকা হবে। জুনিয়র চিকিৎসকদের এই হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই দেবাংশু মাওবাদী-প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।
ইতিমধ্যেই দেবাংশু ভট্টাচার্যের অন্য একটি মন্তব্যের জন্য চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী আদালতে গিয়েছেন। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দেবাংশু বলেন, “করুন আমি তো চাই। দেরি করছেন কেন? আমি তো চাই আদালতের চোখে বিষয়টি আসুক। যে ছেলেটি মারা গিয়েছিল বাম জমানায়, যে সময় সুবর্ণ গোস্বামী এসএফআই নেতা ছিলেন আরজি করে। সেই সময়কার ইতিহাস বেরিয়ে আসুক। সে সময় পর্ণ চক্র-সহ নানা দুর্নীতি চক্রের মাথায় ছিলেন ওঁরা। আজকে যারা বড় প্রতিবাদী মুখ সাজছে তাদের ইতিহাসটা বাংলার মানুষের কাছে বেশি করে আসা উচিত। তারা নিজেরাই যদি আদালতে যায় সে তো আনন্দের কথা।”
যদিও একথা আগেও বলেছিলেন দেবাংশু। সে সময় চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী স্পষ্ট বলেছিলেন, “যে ছেলেটির মৃত্যু হয়েছিল, সে সময় ছেলেটার মা অভিযোগ করেছিলেন, এসএফআই করে বলে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলেরা খুন করে থাকতে পারে। আমরা সে সময়ে সংগঠনের অন্যতম কর্মী ছিলাম। সিআইডি তদন্তে প্রমাণিত হয়, ছেলেটি আত্মহত্যা করেছিল।”