Katwa: ‘একজোট হচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা’, মৌলবাদীদের রুখতে এবার বড় পদক্ষেপ
Katwa: দেশভাগের কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি গ্রামের বাসিন্দারা অনেক বছর আগেই চলে এসেছে ভারতে। তাদের নিজেদের পরিবারের ও আত্মীয়রা আছেন বাংলাদেশে। একমাত্র ফোনই এখন তাঁদের যোগাযোগের মাধ্যম। ফোনে বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে কাঁদছেন ওপারের আত্মীয়রা বলে জানাচ্ছেন এদেশে থাকা পরিবারের লোকেরা।
কাটোয়া: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠছে। মারধর থেকে শুরু করে বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ। যার প্রভাব পড়ছে বাংলায়ও। কারণ অনেকেরই আত্মীয়-স্বজন রয়েছে বাংলাদেশে। ফলে চিন্তায় কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি গ্রামে থাকা বহু পরিবার।
দেশভাগের কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি গ্রামের বাসিন্দারা অনেক বছর আগেই চলে এসেছে ভারতে। তাদের নিজেদের পরিবারের ও আত্মীয়রা আছেন বাংলাদেশে। একমাত্র ফোনই এখন তাঁদের যোগাযোগের মাধ্যম। ফোনে বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে কাঁদছেন ওপারের আত্মীয়রা বলে জানাচ্ছেন এদেশে থাকা পরিবারের লোকেরা।
বাংলাদেশে হিন্দুরা পালা করে রাত জেগে এলাকা পাহারা দিচ্ছে। যাতে দুষ্কৃতী কোনও ক্ষতি না করতে পারে। জানাচ্ছেন-চিন্তিত হওয়া বাংলাদেশ দেশ থেকে চলে আসা বৃদ্ধ মহেন্দ্র নাথ মন্ডল। তিনি আরও বলছেন, ওদেশে থাকা আত্মীয়রা ফোনে জানিয়েছে যে গ্রামে ওরা থাকে সেখানে হিন্দুরা একজোট হয়েছে। নিজ নিজ পরিবার বাঁচতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্ৰতি রাতে দুষ্কৃতীদের (কট্টরপন্থী) আটকাতে পালা করে গ্রাম পাহারা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতে কত দিন রোখা সম্ভব।”
মা, স্ত্রী পরিবার নিয়ে বহু বছর আগে ভারতে চলে এসেছেন মণি শঙ্কার মণ্ডলও। তাঁর কথায়, বাংলাদেশে তাঁদের আত্মীয়রা রয়েছেন। তাঁরা ফোনে পরিস্থিতির কথা জানিয়ে কান্নাকাটি করে। আত্মীয়দের আতঙ্ক পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে, মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে, নিজেদের প্রাণ নিয়ে। শঙ্কর মণ্ডলের বৃদ্ধা মা বলছেন, তাঁদের নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। ওরা আমার বাড়ির লোক। ফোন করলে কান্নাকাটি করে। আত্মীয়রা বলে মোদী যদি এদেশে আনে চলে আসব।