Burdwan University: মোদী-মুর্মুর সামনে নিজের প্রতিভা দেখাবেন বর্ধমানের পূজা
Bengal Girl in Republic Day Parade: প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একমাত্র পড়ুয়া হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে পূজাকে। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করার পর, প্রথমেই ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে হয়েছে। এরপর ওড়িশায় হয়েছে চূড়ান্ত বাছাই পর্ব। ১৪-২৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলেছে চূড়ান্ত বাছাই প্রক্রিয়া।

বর্ধমান: গত সপ্তাহেই ইমেল পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সামনে নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ এসেছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের ঐতিহ্যবাহী কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন তিনি। এখনও যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পূজা কোলে। শারীর শিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করছেন বাঁকুড়ার কোতলপুরের বাসিন্দা পূজা। এবার ফাইনাল ইয়ার। এতদিন টিভি পর্দায় দেখে এসেছেন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। এবার তিনি নিজেই যোগ দেবেন কুচকাওয়াজে।
শরীর চর্চা ও যোগব্যায়ামে ছোটবেলা থেকেই পারদর্শী পূজা। তিন বছর বয়স থেকে যোগব্যায়াম শিখছেন। এখন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলেও প্রতি সপ্তাহে শনি-রবিতে ফিরে যান বাঁকুড়ার কোতলপুরের বাড়িতে। ছুটির দিনগুলিতে সেখানে চলে কচিকাঁচাদের নিয়ে যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষণ।
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একমাত্র পড়ুয়া হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে পূজাকে। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করার পর, প্রথমেই ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে হয়েছে। এরপর ওড়িশায় হয়েছে চূড়ান্ত বাছাই পর্ব। ১৪-২৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলেছে চূড়ান্ত বাছাই প্রক্রিয়া। দিল্লি থেকে নির্বাচকরা এসেছিলেন সেখানে। ওই সময় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট আটজনকে বেছে নেওয়া হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের জন্য। সেই তালিকায় রয়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজাও।
পূজা বলছেন, ‘আনন্দ তো হচ্ছে অবশ্যই। তবে এই সব কিছুর পরেও বলব, জীবনে একজন ভাল মানুষ হতে হবে। মানব জন্ম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জন্ম, আমরা আমাদের ব্যবহার দিয়ে এটা ভাল ও খারাপ করতে পারি। তাই মানুষ হয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব।’
গত ১৫ ডিসেম্বরই ইমেল এসেছে তাঁর কাছে। এরপর থেকেই খুশির ছোঁয়া বাড়ি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র। বাবা, মা, দাদা, দিদি, বৌদি… বাড়ির প্রত্যেকেই খুব খুশি। প্রচুর উৎসাহ ও সহযোগিতা পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীদের থেকেও। কয়েকদিন বাদেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। প্রায় এক মাস ধরে চলবে কুচকাওয়াজের মহড়া। ওই সময় দিল্লিতেই থাকতে হবে তাঁকে। ৩০ ডিসেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন পূজা, ফিরবেন ৩১ জানুয়ারি।
পূজার সাফল্যে অত্যন্ত খুশি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীর শিক্ষা বিভাগের প্রধান গোপা সাহা রায়। তিনি বলেন, ‘পূজা খুবই ডিসিপ্লিনড স্টুডেন্ট। তাঁর মনের মধ্যে একটা জেদ ছিল, যে দিল্লির রাজপথে কীভাবে পৌঁছাবে। একটা জায়গায় পৌঁছাতে গেলে যে যে জিনিস প্রয়োজন তার সবটাই পূজার মধ্যে আছে। পূজাকে নিয়ে আমরা গর্বিত, ওকে শুভেচ্ছা জানাই। পূজাকে দেখে আরও মেয়েরা উৎসাহ পাবে।’





