TMC: পুলিশের পোশাক পরে সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট! ‘বেপরোয়া তোলাবাজি’ TMC নেতার
TMC: জানা গিয়েছে, ফিরোজ জেলার জামালপুর ব্লকের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী। বালি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলাবাজি-সহ একাধিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই তৃণমূল নেতার পরনে কেন পুলিশের উর্দি, তা নিয়ে রহস্য ঘণীভূত হয়েছে।

বর্ধমান: পুলিশের পোশাক পরে সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট। এলাকার বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর অভিযোগ। তৃণমূল নেতার এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক শোরগোল। নাম ফিরোজ শেখ। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জামালপুরের চক্ষণজাদি গ্রামে। ফিরোজের দৌরাত্ম্য ও সন্ত্রাস নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, ফিরোজ জেলার জামালপুর ব্লকের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী। বালি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলাবাজি-সহ একাধিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই তৃণমূল নেতার পরনে কেন পুলিশের উর্দি, তা নিয়ে রহস্য ঘণীভূত হয়েছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জামালপুরের বেরুগ্রাম সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় দামোদর থেকে অবাধে বালি লুঠের অভিযোগ অনেক দিন আগে থেকেই উঠেছে। শুধু বালি লুঠ নয়,ভারত রক্ষা আইনের আওতাভুক্ত থাকা দামদরের বাঁধকে বিপন্ন করে বাঁধের ওপর দিয়ে ওভারলোড ট্রাক নিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রসিক পয়েন্টও করা হয়। জামালপুরের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন মৌজা এলাকা-সহ চলবলপুর , হাবাসপুর , সারাংপুর , দাদপুর , শিয়ালি , কোড়া , মুইদিপুর প্রভৃতি বিভিন্ন এলাকায় ‘গ্রিন ট্রাইবুনালের’ রায় অমান্য করে বালি লুঠেরও অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসী ওসমান বলেন, “ফেসবুক খুললেই দেখছি, পুলিশের পোশাক পরে ওর ছবি। ওর তো পেটে গুঁতো দিলে ক অক্ষরও বেরোবে না। নামও লিখতে জানে না! আমরাও চাই গ্রেফতার হোক।”
আরেক গ্রামবাসী বলেন, “গ্রামের লোক বলছে, যত খাদ রয়েছে, সব থেকে তোলা তুলত। কত লোককে মারধর করেছে, তোলা তুলছে। বিহিত হওয়া দরকার।” স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। প্রশ্ন উঠছে, ছবি ভাইরাল হওয়ার পরও কেন এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতা? পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করে, সেটাই দেখার।

