Khagragar Case: বাড়ির পরিচারিকার নামে ঘর ভাড়া? খাগড়াগড় জাল নোটকাণ্ডে সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Fake Note: সূত্রের খবর, খাগড়াগড়ের পূর্ব মাঠপাড়ায় গোপাল নিজের নামে বাড়ি ভাড়া নেননি। নিয়েছিলেন পরিচারিকা ও তাঁর স্বামীর নামে।
পূর্ব বর্ধমান: খাগড়াগড়ে জাল নোটের কারখানা হদিশের ঘটনায় ধৃতদের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। এই ঘটনায় গোপাল সিং ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে দীপঙ্কর চক্রবর্তী ও বিপুল সরকার নামে দু’জনকে। ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে। খাগড়াগড় থেকে উদ্ধার হওয়া জাল নোট পরীক্ষার জন্য ট্যাকশালে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত গোপাল সিং সম্পর্কেও নানা তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। সূত্রের খবর, খাগড়াগড়ের পূর্ব মাঠপাড়ায় গোপাল নিজের নামে বাড়ি ভাড়া নেননি। নিয়েছিলেন পরিচারিকা ও তাঁর স্বামীর নামে। সত্যিই যদি তেমনটা হয়ে থাকে, তা হলে কেন এই ঘটনা তা নিঃসন্দেহে প্রশ্নের উদ্রেক করে। মাস চার পাঁচেক আগে খাগড়াগড়ে ভাড়া আসে গোপাল সিংয়ের পরিবার। তাহলে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা নিয়েই কি এখানে আসা? বৃহস্পতিবারই বর্ধমানের খাগড়াগড়ে হদিশ মিলেছে জাল নোট তৈরির কারখানার। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নকল নোট, নোট ছাপার মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম। উদ্ধার হয়েছে ডলার ছাপারও জিনিস। পুলিশ সূত্রে খবর, গোপাল সিংয়ের ঘর থেকে ভুয়ো সিবিআই কর্মীর পরিচয় পত্রও পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের পরিচয়পত্রও।
বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশের কাছে খবর ছিল, খাগড়াগড় ও সংলগ্ন বেশ কয়েকটি এলাকায় জাল নোটের কারবার চলছে। বর্ধমান থানার পুলিশ সমস্ত তথ্য প্রমাণ সংগ্রহে গোপন অভিযান শুরু করে। এরপরই তাদের কাছে মাঠপাড়ার একটি বাড়ির খবর আসে। অভিযোগ পায়, ওই বাড়িতে জাল নোটের কারবার চলে। পূর্ব মাঠপাড়ায় সিরাজুল ইসলামের বাড়ি। স্থানীয়রা জানান, সেখানেই স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে চার পাঁচ মাস আগে আসেন গোপাল সিং। অসুস্থ শাশুড়িকে দেখাশোনার জন্য সবসময়ের এক পরিচারিকাও আছেন। ওই পরিচারিক বৃহস্পতিবারই জানান, গোপাল সিং নিজেকে মানবাধিকার কর্মী বলে পরিচয় দিতেন। কিন্তু তাঁর নামেই এই বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে কি না, সে সংক্রান্ত কোনও ইঙ্গিত দেননি।
সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বাড়ি সেটি। কিন্তু বাড়ির কর্তা শুক্রবারও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি। ভিতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। বারবার ডাকা হলেও কেউ সাড়া দেননি। পূর্ব মাঠপাড়ার এক বাসিন্দা জানান, তাঁরই এক আত্মীয় ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে এই বাড়ি ভাড়া নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সিরাজুল গোপালের কাছ থেকে আরও বেশি ভাড়ার টাকা পাওয়ায় গোপালকেই ভাড়া দেন।
স্থানীয় সরাইটিকরি গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান উৎপল ঘোষ জানান, বারবার খাগড়াগড়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে যে ধরনের কার্যকলাপ হচ্ছে তাতে চিন্তা বাড়ছে। এলাকাবাসী ও বাড়ির মালিকের নজর এড়িয়ে কীভাবে এই চক্র সক্রিয় ছিল সেটাও তদন্ত হওয়া দরকার। কয়েকমাস আগেই বর্ধমান থানা থেকে ভাড়াটিয়াদের নথি থানায় জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই নথি থেকেই পুলিশ কোনও তথ্য পেয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।