Burdwan Medical College: মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার সুপারিশ করছেন ল্যাবের নাম, রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ ঘিরে হইচই
Bardhaman News: গত ১৫ অগস্ট বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন ভাতারের ভাটাকুলের বাসিন্দা রাকিনা বেগম। পরিবারের দাবি, নবজাতক জন্মের পর থেকেই অসুস্থ।
পূর্ব বর্ধমান: মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বেসরকারি ল্যাবের নাম সুপারিশ করার অভিযোগ উঠল। রোগীর পরিবারের তরফে তোলা এই অভিযোগ ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে। যদিও হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, দু’পক্ষের অভিযোগই তাঁরা পেয়েছেন। অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
গত ১৫ অগস্ট বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন ভাতারের ভাটাকুলের বাসিন্দা রাকিনা বেগম। পরিবারের দাবি, নবজাতক জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। তাই তাকে স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে (SNCU) রাখতে হয়। তবে মাকে ছুটি দিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরই গত ২৫ অগস্ট শিশুর একটি রক্ত পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয় হাসপাতালের তরফে। অভিযোগ, এক চিকিৎসক ওই ল্যাবের কর্মীকে ডেকে এনে রাকিনার পরিবারকে বলেন, এখান থেকেই পরীক্ষা করাতে। এরজন্য ১৩ হাজার টাকাও চাওয়া হয়।
শিশুর কাকা শেখ জসিমুদ্দিনের কথায়, “১৫ অগস্ট আমার বৌদি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর প্রিম্যাচিওর বেবি হয়। বাচ্চাটা সেদিন থেকেই কাচের ঘরে। বৌদিকে ছুটি দিয়ে দেয়। ২৫ তারিখে এক ডাক্তার একটা ল্যাবের লোককে ডেকে বলেছেন রক্তের রিপোর্ট করতে হবে। ১৩ হাজার টাকা লাগবে। ডাক্তার বলেন, এই পরীক্ষা হাসপাতালে হবে না। কিন্তু আমরা গরীব। কোথায় পাব এত টাকা? আমরা ৮ হাজার টাকার কথা বলি। ওই ল্যাবের লোকেরা তাতে রাজিও হয়। এখন বলছে পুরো টাকা দিতে হবে। তারপর এখানে পুলিশ ক্যাম্পে বলি। তারা সহযোগিতা করেছে। আমাকে সুপারের কাছে নিয়ে গিয়েছে। এখন ওই ডাক্তার বলছেন রেফার করেছেন। কিন্তু সরকার তো বলে সব বিনামূল্যে, তাহলে একটা গরিব মানুষের এই অবস্থা কেন?”
এ বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, “অভিযোগ আমি পেয়েছি। রোগীর তরফে এসেছে। সকলের বক্তব্য শুনি। ডাক্তারবাবুও একটা অভিযোগ করেছেন পেশেন্ট পার্টির নামে। যেহেতু দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে, তা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখা হবে। আমরা তিন সদস্যর একটা তথ্য অনুসন্ধান কমিটিও তৈরি করেছি। অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্টের তত্ত্বাবধানে এই কমিটি খতিয়ে দেখবে অভিযোগ। কী, কোন পরিস্থিতিতে, কে কাকে কী বলেছেন দেখা হবে। দু’পক্ষের কথাই খতিয়ে দেখা হবে। এরপর এনকোয়ারি রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি। তাতেই ঘটনার সত্যতা জানা যাবে। অন্যায় হলে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। যে টেস্টের কথা আমাকে অভিযোগে জানানো হয়েছে, সেই টেস্ট বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হয় না।”