Tajpur Port: প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দরের এলাকায় আদানি গোষ্ঠীর পরিদর্শন

Purba Medinipur: গত ১৮ অক্টোবর তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য দরপত্র চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

Tajpur Port: প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দরের এলাকায় আদানি গোষ্ঠীর পরিদর্শন
তাজপুর বন্দর তৈরি নিয়ে জোর প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2021 | 7:44 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: তাজপুরে গ্রিনফিল্ড বন্দর তৈরির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার এলাকা পরিদর্শন করে গেলেন আদানি গোষ্ঠীর আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্তারাও।

তাজপুরে গ্ৰিনফিল্ড বন্দর তৈরির প্রক্রিয়া আগেই শুরু করেছে রাজ্য সরকার। প্রত্যক্ষ ভাবে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলেই দাবি সরকারের। ১ হাজার একর জমির উপর গড়ে উঠবে এই সমুদ্র বন্দর। প্রথম পর্যায়ে ছ’টি বার্থ ও পরের পর্যায়ে আরও ন’টি বার্থ তৈরি হবে এই বন্দরে। তাই এবার বিনিয়োগকে পাখির চোখ করে বুধবার প্রস্তাবিত তাজপুর গভীর সমুদ্রবন্দর পরিদর্শন করলেন আদানি শিল্পগোষ্ঠীর কর্মকর্তারা।

এদিন শিল্পগোষ্ঠীর আট কর্মকর্তা জেলা প্রশাসন ভূমি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে তাজপুর, চাঁদপুর, জলধা ও পুরুষোত্তমপুর এলাকায় পরিদর্শন করেন। আদানি গোষ্ঠীর মতো নামী শিল্পসংস্থার পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা নিয়ে তৎপর ছিল প্রশাসন। পাশাপাশি তারা দিঘা-পাঁশকুড়া লাইনে রামনগর ও বাদলপুর স্টেশনও ঘুরে দেখে তারা।

এ বিষয়ে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক মানস কুমার মণ্ডল বলেন, “এ নিয়ে মোট চারটি শিল্পসংস্থা প্রস্তাবিত বন্দর এলাকা ঘুরে দেখলেন। তা ছাড়া তাজপুর গভীর সমুদ্রবন্দরকে সামনে রেখে রামনগর-১ ও ২ ব্লকের কোথায় কী ধরনের পরিকাঠামো তৈরি হবে ওই শিল্পসংস্থার কর্মকর্তাদের তা ঘুরিয়ে দেখানো হয়। ছ’টি লেনের সড়ক পথ ও রেল লাইনে জুড়ে দেওয়া হবে গভীর সমুদ্রবন্দরকে। বন্দর থেকে লাইনজুড়ে যাবে দিঘা-পাঁশকুড়া রেললাইনে। বন্দর থেকে পণ্যবাহী সামগ্রী সড়ক ও রেলপথে দেশের নানাপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই এই ভাবনা রয়েছে। ওরা এসে সবটা ঘুরে দেখে গেল। সব দফতরের আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।”

সূত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও পড়শি রাজ্য ত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম-সহ একাধিক রাজ্যে বাণিজ্যের মূল প্রবেশদ্বার হবে তাজপুর বন্দর। পলি পড়ে যাওয়ার কারণে হলদিয়া বন্দরে বড় জাহাজ ঢুকতে পারছে না। এর জন্য মাঝ সমুদ্রে ‘শিপ টু শিপ’ লোডিং করতে হচ্ছে। ফলে খরচ বাড়ছে। কিন্তু গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে তাজপুরে সরাসরি বড় জাহাজ ঢুকে যাবে। ট্রান্সলোডিংয়ের হয়রানি থাকবে না। তাতে অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয় হবে।

তাজপুর-শঙ্করপুরের মাঝে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য রাজ্য সরকার সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ করবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির মাধ্যমে তৈরি হবে তাজপুর বন্দর। প্রকল্পে ১৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুই পর্যায়ে এই কাজ হবে। প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

গত ১৮ অক্টোবর তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য দরপত্র চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আগামী ২০ডিসেম্বর পর্যন্ত দরপত্র চাওয়া হয়। তার মধ্যেই একাধিক শিল্পসংস্থা বিনিয়োগের লক্ষ্য নিয়ে তাজপুর সাইট পরিদর্শন করেছেন। আদানি গোষ্ঠীর এই পরিদর্শন নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। প্রস্তাবিত এই বন্দর আগামী দিনে উত্তর-পূর্ব ভারতের গেটওয়ে হয়ে উঠবে বলে দাবি করছে সরকার।

আরও পড়ুন: ‘যে দোষ করবে সে মার খাবে’, প্রাক্তন প্রেমিককে গুলি করে সদর্পে বলল নাবালিকা প্রেমিকা