TMC in Nandigram: নতুন ব্লক সভাপতি ‘নাপসন্দ’, নন্দীগ্রামে বেআব্রু তৃণমূলের ‘কোন্দল’
Nandigram: বুধবার তমলুক সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের তরফে নবনির্বাচিত ব্লক তৃণমূল নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে আবার তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের একাংশও আলাদা করে বৈঠক করে।
নন্দীগ্রাম : তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি জেলা ধরে ধরে বৈঠক করছেন। সংগঠনকে কীভাবে আরও মজবুত করা যায়, তা নিয়ে বার্তা দিচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের নীচু তলার সংগঠনের দিকে আরও নজর দিচ্ছেন অভিষেক। কিন্তু এরই মধ্যে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের একাংশের মধ্যে প্রকাশ্যে চলে আসছে দলের অন্দরে ক্ষোভের কথা। বুধবার তমলুক সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের তরফে নবনির্বাচিত ব্লক তৃণমূল নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে আবার তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের একাংশও আলাদা করে বৈঠক করে। ওই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা।
নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের তৃণমূল নেতা পরিতোষ জানা দলের নবনির্বাচিত ব্লক সভাপতির প্রসঙ্গে বলেন, “তিনি গ্রুপবাজি করছেন। মহাদেব বাবু যখন সভাপতি ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে বৈঠক করেছিলেন। আমাদের প্রধানের বিরুদ্ধে কত কুৎসা করেছেন। তিনিই আসলে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। তিনি কি তৃণমূলকে রক্ষা করার জন্য করছেন? নাকি বিজেপির সঙ্গে গোপনে চক্রান্ত করছেন? তা সামনে বসে প্রমাণ করে দেব।” বিক্ষুব্ধ নেতাদের বক্তব্য়, “আমরা আগেও বলেছি, যে কোনও কারণেই হোক, ভুল বোঝাবুঝি হয়ে আমাদের নেতৃত্ব সঠিক নির্বাচন করেনি। আমরা সাত দিন সময় দিয়েছে নেত্রীর কাছে। পুনর্বিবেচনা করুন। নাহলে আমরা বৃহত্তর স্বার্থে যা করার, তা করব।”
বিক্ষুব্ধ নেতা পরিতোষ জানা অতীতে দলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল প্রসঙ্গও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “তুষার মণ্ডল কতদিনের সভাপতি? এক বছরের। দেবপ্রসাদ মণ্ডল কতদিনের সভাপতি? সেই রাজ্য থেকেই করেছিল তো।”
যদিও এই বিষয় নিয়ে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অরুণাভ ভূঁইয়া বলেন, “আজ আমাদের জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। আমার ব্লক এরিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বৈঠক হয়নি। যদি কেউ করে থাকেন, দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই সব করেছেন। এটা তৃণমূল কংগ্রেস বা দলের তরফ থেকে কোনও সাংবাদিক বৈঠক নয়।” তিনি আরও বলেন, “আমার ব্লকে এমন কিছু লোক আছেন, তাঁরা আমাদের নেত্রীকে নিজেদের বুথ থেকেও জেতাতে পারেননি। আমি তাঁদের বলব, মন দিয়ে দল করুক। যদি তাঁরা নিজেদের নেতা মনে করেন, তাহলে নেতার মতো আচরণ করুন। দলের কথা দলের মধ্যে থাকবে, নিশ্চয়ই দলের মধ্যে পর্যালোচনা হবে। কিন্তু যাঁরা দলের কথা বাইরে বলছেন, তাঁরা তৃণমূলকে ভালবাসেন বলে আমি মনে করছি না।”