Kanthi: বন্দুকের বাঁট দিয়ে দলের নেতাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ, বিক্ষোভে তৃণমূল, কাঁথিতে বিজেপির কার্যকর্তা সহ গ্রেফতার ৫

Kanthi: ঘটনার পরেই দোষীদের শাস্তির দাবিতে ভূপতিনগর থানায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পরবর্তীতে অঞ্চল সভাপতি তথা উপপ্রধান মিহির ভৌমিক থানায় ৩০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

Kanthi: বন্দুকের বাঁট দিয়ে দলের নেতাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ, বিক্ষোভে তৃণমূল, কাঁথিতে বিজেপির কার্যকর্তা সহ গ্রেফতার ৫
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 10:14 PM

কাঁথি: তৃণমূলের (Trinamool Congress) অঞ্চল সভাপতিকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও এলাকার সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগে বিজেপির (BJP) কার্যকর্তা সহ ৫ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ (Police)। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। ভূপতিনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ বরোজ এলাকার বিজেপির বুথ সভাপতি বিমল দোলাই, মনোরঞ্জন দোলাই, কায়েমগেড়িয়া গ্রামের খগেন আড়ি, মহিতোষ আড়ি এবং পাঁউসি গ্রামের কালীপদ দাস। 

বুধবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনাকে নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। ভূপতিনগরের স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মিহির ভৌমিকের উপর অতর্কিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

ঘটনার পরেই দোষীদের শাস্তির দাবিতে ভূপতিনগর থানায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পরবর্তীতে অঞ্চল সভাপতি তথা উপপ্রধান মিহির ভৌমিক থানায় ৩০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার বিকাল থেকে এলাকার পরিস্থিতি ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামে ভূপতিনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সামনেই কিছু দুষ্কৃতিকারীরা বোমাবাজী করে বলে অভিযোগ। রাতভর অভিযান চালিয়ে ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সকলেই এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত বলে খবর।

ঘটনা প্রসঙ্গে কাঁথি মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, “মঙ্গলবার দুপুর থেকে ঘটনাস্থলে রয়েছি আমরা। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুটো মামলা রুজু হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মারধর ও খুনের চেষ্টা একটি মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের সামনে বোমাবাজির ঘটনায় আরও একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচজন গ্রেফতার। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” 

ভগবানপুরে তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য মানব পড়ুয়া বলেন “এলাকার বিধায়কের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা এলাকায় নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তার প্রতিফলন প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূলের নেতার উপর হামলা। পুলিশের সামনে বোমাবাজি করছে। আইন আইনের পথে চলবে। আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব।” এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা তাপস দোলাই বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এখন বিজেপি নেতা ও কর্মীদের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।”