Haldia Municipality : হলদিয়া টেন্ডার দুর্নীতিতে আরও চাপে প্রাক্তন চেয়ারম্যান, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামলকে ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ
Haldia Municipality: “আমি কিছু ভাল কাজ করেছিলাম। কিন্তু শুভেন্দুবাবুর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় রাজনৈতিক কারণে এ সব করে আক্রোশ মেটানো হচ্ছে।” স্পষ্ট বক্তব্য শ্যামলের।
হলদিয়া: হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন হলদিয়া পুরসভার (Haldia Municipality) প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদক। নথি জালিয়াতি করে ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার সংস্থাকে পুরসভার কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামলের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এদিন থানায় প্রায় ৪ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার ফের তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হলদিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল পান্ডে। তিনি বলেন, “নথি জালিয়াতি করে ঘনিষ্ঠ সংস্থাকে কাজের বরাদ পাইয়ে দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। উনি দূর থেকে আসার কারণে ক্লান্ত ছিলেন। সে কারণে ঠিকমতো জেরা করা যায়নি। বুধবার ফের সকাল ৯ টায় তাঁকে ডাকা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শ্যামলের বিরুদ্ধে হলদিয়া বন্দরের ব্যবসায়ী অরুণাংশু মুখোপাধ্যায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর নথি জালিয়াতির অভিযোগ জানান ভবানীপুর থানায়। যার তদন্তে সিট গঠন করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। অভিযোগ, গ্রেফতারি এড়াতে দিল্লি গিয়ে আত্মগোপন করেন শ্যামল। হলদিয়া আদালতের পরোয়ানা পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে দিল্লি পাড়ি দেন সিটের সদস্যরা। পরবর্তীতে আইনজীবী মারফত কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন শ্যামল। সোমবার যার শুনানি হয় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে। শ্যামলকে আইনি রক্ষাকবচ দিয়ে মঙ্গলবার থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল দুর্নীতি হলে ছেড়ে কথা বলা হবে না।
আদালতের নির্দেশ মেনে এদিন দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ থানায় এসে পৌঁছান তিনি। প্রায় ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাবাদের পর পৌনে ৫ টা নাগাদ থানা থেকে বেরোতে দেখা যায় শ্যামল আদককে। থানা থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “আমি কিছু ভাল কাজ করেছিলাম। কিন্তু শুভেন্দুবাবুর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় রাজনৈতিক কারণে এ সব করে আক্রোশ মেটানো হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই।”