Abhishek Rally at Kanthi: শান্তিকুঞ্জের ১০০ মিটার দূরেই অভিষেকের সভা, ডাক পাচ্ছেন শিশির-দিব্যেন্দু?
Abhishek Rally at Kanthi: এই সভা নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলাও করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দুর আর্জি খারিজ হয়ে যায় আদালতে।
কাঁথি: শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের বাঁধন আলগা হয়েছে। তৃণমূলে থেকেই সাংসদ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতার বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। একসময়ের অধিকারী গড় কাঁথিতে তৃণমূলের সভা নিয়ে যখন প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখন প্রশ্ন উঠছে শিশির বা দিব্যেন্দু কি ডাক পাচ্ছেন? শনিবারই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ি শান্তিকুঞ্জের ১০০ মিটার দূরে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা ঘিরে কাঁথির তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে।
১০০ মিটার দূরের এই সভায় শান্তিকুঞ্জের কোনও সদস্য আমন্ত্রণ পাচ্ছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিবর্তে শান্তিকুঞ্জই যে সেদিনের সভা মূল নিশানা হয়ে উঠবে, তেমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে তৃণমূল নেতাদের কথায়। কেন্দ্রের বঞ্চনা, মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হেনস্থা করার মতো বিষয় যে এই সভার মূল বিষয় হয়ে উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘এটা যেহেতু রাজনৈতিক সভা তাই আমাদের প্রতিবাদ থাকবে বিরোধী দলনেতার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে। আমরা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব। কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার হব, এটাই স্বাভাবিক। যেখানে সভা হচ্ছে তার চারপাশে কে, কোথায় বসবাস করে, এটা দেখা আমাদের কাজ কিন্তু নয়।’ কাউকে বিরক্ত করাও উদ্দেশ্য নয় বলে জানিয়েছে তৃণমূল। শিশির ও দিব্যেন্দু সম্পর্কে সুপ্রকাশ বলেন, ‘আমরা মনে করি না, অধিকারী পরিবারে কেউ তৃণমূলে রয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া তৃণমূলের স্ট্যাম্প প্যাড ব্যবহার করেন ওঁরা। কিন্তু তৃণমূলের সাংসদ হলেও কোনওদিনই তৃণমূলের জন্য বা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কথা বলেন না। যদি বলতে তা হলে দিব্যেন্দুবাবু বিধাসভা ভোটেও নেত্রীর হয়ে গলা ফাটাতেন।’
এ প্রসঙ্গে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বাড়ির কাছে সভা হচ্ছে শুনেছি। সভায় ডাক পাওয়া নিয়ে কিছু বলতে পারব না।’ এই সভা সম্পর্কে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ রায় বলেন, শান্তিকুঞ্জে বিরোধী দলনেতা থাকেন, মূলত তাঁকে বিব্রত করাই লক্ষ্য তৃণমূলের। এই সভা নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলাও করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দুর আর্জি খারিজ হয়ে যায় আদালতে। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, সব নিয়ম মেনে সভা করায় কোনও আপত্তি নেই আদালতের।