Panskura: অস্থায়ী কর্মী নিয়োগে ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ? সরকারি হাসপাতালে ধর্ষণে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
Panskura Super Speciality Hospital: পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কর্মরত অস্থায়ী কর্মীরা বলছেন, এই সরকারি হাসপাতালে একটি বেসরকারি সংস্থার ফেসিলিটি ম্যানেজার ছিলেন অভিযুক্ত। আদপে হাসপাতালের অলিখিত সুপার ছিলেন। অস্থায়ী কর্মীদের মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করতেন।

পাঁশকুড়া: তাঁর ইশারা ছাড়া অস্থায়ী কর্মীও নিয়োগ করা যেত না। আর অস্থায়ী কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা দিত হত। এবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ধর্ষণে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। সরকারি হাসপাতালকে বেআইনি কারবারের কার্যত আখড়া বানিয়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পর এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগীরা।
পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কর্মরত অস্থায়ী কর্মীরা বলছেন, এই সরকারি হাসপাতালে একটি বেসরকারি সংস্থার ফেসিলিটি ম্যানেজার ছিলেন অভিযুক্ত। আদপে হাসপাতালের অলিখিত সুপার ছিলেন। অস্থায়ী কর্মীদের মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করতেন। হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিতে হলে মাথা পিছু দিতে হত সাড়ে তিন লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকা।
হাসপাতালের এক কর্মী জানাচ্ছেন, হাসপাতালের যে ১৩৩ জন অস্থায়ী কর্মী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রথম ৪৫ জন কর্মী বাদে বাকি সকলে সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা দিয়ে কাজে ঢুকতে হয়েছে। তিনি আরও জানান, যাঁরা টাকা দিচ্ছেন চাকরির জন্য, তাঁদের ওই কাজের বিষয়ে জ্ঞান না থাকলেও টাকা দিয়েই তাঁরা কাজ পেয়ে যাচ্ছিলেন। কখনও সরাসরি অভিযুক্তের হাতে টাকা তুলে দিতে হত। অথবা তাঁর পরিচিত কারও হাতে টাকা দিলেই মিলত চাকরি।
অভিযোগকারী ব্যক্তি নিজেই সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সরাসরি অভিযুক্তের হাতে না দিয়ে তাঁর পরিচিত একজনের হাতে টাকা তুলে দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে, তত ফাঁস হচ্ছে ধর্ষণে অভিযুক্তের কীর্তিকলাপ। আর কী অভিযোগ সামনে আসে, সেটার দেখার।
