Suvendu Adhikari: ‘শেষ তারিখ’ ২১ ডিসেম্বরের সভার খুঁটি পুজো হল শুভেন্দুর জন্মদিনে
Suvendu Adhikari: সপ্তাহ খানেক আগেই কাঁথিতে জনসভা করেছিলেন সর্ব ভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

পূর্ব মেদিনীপুর: আজ ১৫ই ডিসেম্বর। লক্ষ্মীবার। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) জন্মদিন। আর এই দিনটিতেই কাঁথিতে খুঁটিপুজো করে শুরু হল বিজেপির মেগা সভার প্রস্তুতি।
সপ্তাহ খানেক আগেই কাঁথিতে জনসভা করেছিলেন সর্ব ভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই পাল্টা হিসেবে আগামী ২১ ডিসেম্বর কাঁথি রেল মাঠে বিজেপির মেগা জনসভা বিজেপির বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। সেই কারণে বিরোধী নেতার সভার মঙ্গল কামনা ও জনসভা সফল করতে এদিন সকালে সামাজিক রীতিনীতি মেনে পুরোহিত ডেকে খুঁটি পুজো হল কাঁথি রেল স্টেশন সংশ্লিষ্ট মাঠে। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর তিন ‘বড়দিনের’ শেষ দিনটিই ২১ ডিসেম্বর। সে দিক থেকে শুভেন্দুর সভা অত্যন্ত তাৎপর্য বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিন শুভেন্দু নিজেই বড় বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেন কিনা, নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
খুঁটি পুজোয় উপস্থিত ছিলেন কাঁথি নগর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি তথা কাউন্সিলর সুশীল দাস-সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতৃত্ব। সুশীলবাবু বলেন, “২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারী জনসভা রয়েছে। আজকে খুঁটিপুজো করে সভায় সূচনা করলাম। সেই দিন থেকে আমাদের পঞ্চায়েত ভোটের কর্মসূচি শুরু হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই চেয়ার থেকে সারানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।” পাশাপাশি নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে কাঁথিতে একজন এসেছিল। সারাক্ষণ শুধু অধিকারী আর অধিকারী! অন্য কোনও বক্তব্য নেই! সেটা মানুষ ভাল চোখে নেয়নি। কলেজ মাঠ চেয়েছিলাম অনুমতি দেয়নি, আমরা রেল মাঠে সভা করছি। সভা থেকেই প্রমাণ হয়ে যাবে, কাঁথি কার।”
বিগতদিনে, ৩ ডিসেম্বর কাঁথি কলেজ মাঠে সভা করতে এসেছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধিকারী পরিবার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্যে একাধিক আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার পাল্টা হিসেবে সভা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, সভায় রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আসবে বলেই মত জেলা বিজেপির নেতৃত্বের, ইতিমধ্যে জোর কদমে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি৷ যদিও বিরোধী নেতার দেওয়া শেষ ডেট লাইনের দিন এটি। মূলত সাতটি বিধানসভার মানুষ আসবে বলে তিনি নিজে জানিয়েছিলেন বিগত দিনের সভায় থেকে।





