Lakshman Seth: গৌতম বুদ্ধ ও সাম্যবাদ নিয়ে গবেষণার জন্য ‘ডিলিট’ পেলেন লক্ষ্মণ শেঠ
Lakshman Seth: অনেকেরই জানা ছিল না বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের গবেষণার কথা। হলদিয়ায় এসে তাঁকে সম্মান দিয়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
হলদিয়া: বাংলার রাজনীতিতে একটু পিছন ফিরে তাকালে বহু চর্চিত নেতা হিসেবে যাঁদের নাম উঠে আসবে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম পূর্ব মেদিনীপুরের নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। বাম আমলে প্রভাবশালী নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে বাম শাসন শেষ হওয়ার পর আর সে ভাবে সামনে আসতে দেখা যায়নি লক্ষ্মণ শেঠকে। কার্যত রাজনৈতিক অবসরই নিয়ে নেন তিনি। আর এবার সেই লক্ষ্মণ শেঠই পেলেন ‘ডিলিট’ সম্মান। রাজনীতির বাইরে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত তিনি। আর সেই ক্ষেত্রে ৭৩ বছর বয়সে এই সম্মান পেলেন ‘ডিলিট’ শেঠ।
প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে কর্ণাটকের টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ডিলিট সম্মান দেওয়া হয়েছে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কিছু একটা করতে চেয়েছিলেন, আর সেটাই করেছেন। মূলত গৌতম বুদ্ধ ও তাঁর সাম্যবাদ নিয়েই গবেষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ‘গৌতম বুদ্ধ আমাদের দেশের সাম্যবাদী সমাজের প্রবক্তা’, এই বিষয়েই গবেষণা করেছেন লক্ষণ শেঠ। তিনি যে এতদিন ধরে এই নিয়ে গবেষণা করছিলেন, এত বয়সেও যে শিক্ষার মধ্যেই ছিলেন তিনি, তা অনেকের কাছেই অজানা ছিল।
তাঁর এই অধ্যাবসায়কে সম্মান জানিয়েছেন অনেকেই। জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হলদিয়ায় এসে লক্ষ্মণ শেঠের হাতে এই বিশেষ সম্মান তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ বাম আমলে অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকাকালীন হলদিয়ায় একাধিক স্কুল, কলেজ তৈরি করেছেন লক্ষ্মণ শেঠ।
দীর্ঘদিন চুটিয়ে সিপিএম করার পর দলবদলে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। পরে তিনি যোগদান করেন কংগ্রেসে। লোকসভার প্রার্থীও হন তিনি। এরপর গত এপ্রিল মাসে তাঁর মুখে তৃণমূলে যোগদানের কথা জানা যায়। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি, সম্মতি পেলেই যোগ দেবেন তৃণমূলে। তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের পক্ষে। জনকল্যাণ মূলক কাজের প্রতি তিনি খুবই উদ্যোগী। তাই সেই কাজে অংশ নেওয়ার জন্য চাইলেই যে কোনও সময় ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করতে পারেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর তৃণমূলে যোগদানের কোনও সম্ভাবনার কথা শোনা যায়নি।