Tamluk: কেউ মারা গিয়েছেন ৫ বছর আগে, কেউ ৩ বছর! তবুও নাম কীভাবে উঠল ভোটার তালিকায়?
অভিযোগ অনুযায়ী, আবাসবাড়ি চর এলাকার ২৩৬ নম্বর বুথে প্রায় ১৪ জন মৃত ভোটারের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে যমুনা দে এবং বিকাশ দে প্রায় তিন বছর আগে মারা গেলেও তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েনি।

তমলুক: ছাব্বিশের ভোটের আগে ফের ‘ভুতুড়ে ভোটার’ নিয়ে চাঞ্চল্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত ভোটারদের তালিকা প্রকাশ করে সরব হলেন তমলুক শহরের বিজেপি নেতা অঞ্জন প্রামাণিক। তাঁর অভিযোগ, তাম্রলিপ্ত পৌরসভার অন্তর্গত একটি বুথে ১৪ জন মৃত ব্যক্তিদের নাম রয়ে গিয়েছে ভোটার তালিকায়।
অভিযোগ অনুযায়ী, আবাসবাড়ি চর এলাকার ২৩৬ নম্বর বুথে প্রায় ১৪ জন মৃত ভোটারের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে যমুনা দে এবং বিকাশ দে প্রায় তিন বছর আগে মারা গেলেও তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েনি। শুধু তাই নয়, মৃতদের উত্তরসূরীরা ঘরবাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেলেও পুরনো ঠিকানায় পরিবারের নাম ভোটার তালিকায় বহাল রয়েছে।
তালিকায় আরও নাম উঠে এসেছে প্রায় তিন বছর আগে মৃত আশালতা মণ্ডলের। প্রায় আট বছর আগে প্রয়াত বনমালী পণ্ডা, এমনকী চার বছর আগে মৃত্যুবরণ করা কানাই ঝুলকির নামও। সেই রকমই এক ব্যক্তি ভিমচরণ দোলুই। যিনি ২০১৭ সালে মারা গিয়েছেন, তাঁর নামও রয়ে গিয়েছে। তাঁর স্ত্রী রমা দলুই বলেন, “স্বামী মারা যাওয়ার এত বছর পরও নাম বাদ হল না কেন বুঝতে পারছি না। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব যাতে দ্রুত আমার স্বামী সহ যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের নাম যাতে বাদ দেয়।”
উল্লেখ্য, বনমালী দলুই যিনি মারা গিয়েছেন পাঁচ বছর আগে। তাঁর নাম রয়েছে লিস্টে। তাঁর স্ত্রী অপর্ণা দলুই বলেন, “লিস্টে নাম আছে কি না আমি জানি না। যদি থাকে তা যেন অবিলম্বে বাদ দেওয়া হয়।” এই বিষয় নিয়েই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় বিএলও (BLO) রা তৃণমূল প্রভাবিত। এই ভুতুড়ে ভোটার তাঁরা ব্যবহার করে ভোটের সময় এবং লিড পায়। যদিও, তৃণমূল পরিচালিত তমলুক পৌরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এইগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজ,তাদের জানানো হয়েছে। যাতে দ্রুত নাম বাদ যায়।
