‘আমফানের মতো ইয়াসের ত্রাণের টাকা উধাও হবে’, খোঁচা শুভেন্দুর
"ঝড়ের শেষে দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখে ওড়িশা-সহ রাজ্য সরকারকে এক হাজার কোটি দিয়েছে কেন্দ্র... কিন্তু আমফানের মতো মাঝরাস্তায় টাকা রয়ে যাবে এটাও আমরা জানি।''
খেজুরি: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas)-এ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী। দিঘা, শঙ্করপুরের মতো খেজুরিতেও এখনও জলবন্দি বহু মানুষ। সোমবার সেখানেই ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের খোঁচা, “জানি আমফানের মতো ইয়াসেও ত্রাণের টাকা উধাও হয়ে যাবে।”
খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিককে পাশে নিয়ে বটতলায় ত্রাণ বিলি কার সময় শুভেন্দু বলেন, রান্না করা খাওয়ার থেকে শুরু করে ফ্ল্যাড সেন্টার, খেজুরিতে যা যা সরকারি উদ্যোগ থাকার দরকার তার কিছু করা হয়নি।
নন্দীগ্রামের বিধায়কের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী এসে দেখে গিয়েছেন। ইয়াস আসার আগে ৪০৪ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ঝড়ের শেষে দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখে ওড়িশা-সহ রাজ্য সরকারকে এক হাজার কোটি দিয়েছে কেন্দ্র… কিন্তু আমফানের মতো মাঝরাস্তায় টাকা রয়ে যাবে এটাও আমরা জানি।” তিনি আরও যোগ করেন, “পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে ড্রপবক্স খোলা হয়েছে। সেই ড্রপবক্সে আপনারা আপনাদের ক্ষতির কথা জানাবেন। আবেদনের রিসিভ কপি নিজেদের কাছে রাখবেন। তা না করা হলে পরে বলবে আবেদনই করা হয়নি।” বিজেপি কর্মীদের দায়িত্ব দেন বিডিও-কে মেল মারফত আবেদন করতে। সরকারি ত্রাণের প্রাপ্য যাতে মানুষ পান, তার জন্য বিরোধী নেতা হিসাবে তিনি কাজ করে যাবেন বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু।
On the eve of the completion of 7th Year of Central Government , today is the second day of Seva Saptaha program . I have distributed tarpaulin , food items to the Yaas Cyclone affected people of Battala area under Khejuri Assembly. #7YearsOfSeva #SevaHiSangathan pic.twitter.com/trNIouPYO9
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 31, 2021
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ক্ষতিপূরণ না পেলে বিরোধী দলনেতা হিসাবে সরকারের বিরুদ্ধে এদিন জোরাল লড়াইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু। এদিন খেজুরি বিধানসভার বটতলা এলাকায় স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামানিকের সঙ্গে ইয়াস ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে নিজস্ব উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেন শুভেন্দু অধিকারী।
ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সরকারি ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্য আমফান ইস্যুকে সামনে রেখে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ ছুড়লেন তিনি। তবে গতবার তিনি ছিলেন সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এবার তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ভূমিকায়।