ইয়াস ভাসিয়েছে তাদেরও, গবাদি পশুদের ত্রাণ শিবির খুলল রামনগরের একদল যুবক
ইয়াসের (Cyclone Yaas) তাণ্ডবে মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিতরাও কার্যত গৃহহারা। আচমকা সমুদ্র বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়া প্রবল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ঘরবাড়ির পাশাপাশি গৃহস্থালি জিনিসপত্র, গরু-বাছুর, ছাগল, মুরগির মত পোষ্যদেরও ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর: এখনও পৃথিবী থেকে মুছে যায়নি মানবিকতা। ইয়াস পরবর্তী রামনগরে একদল যুবকের উদ্যোগ সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। সরকার দুর্গতদের জন্য ত্রাণশিবিরের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু গবাদি পশুদের কী ভবিষ্যৎ? প্লাবিত এলাকায় কোথায় থাকবে কী বা খাবে তারা? সে ভাবনা থেকেই গবাদি পশুদের জন্য ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এলাকায়।
ইয়াসের তাণ্ডবে মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিতরাও কার্যত গৃহহারা। আচমকা সমুদ্র বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়া প্রবল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ঘরবাড়ির পাশাপাশি গৃহস্থালি জিনিসপত্র, গরু-বাছুর, ছাগল, মুরগির মত পোষ্যদেরও ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কিছু কিছু বরাত জোরে বেঁচে গেলেও এখন আটকা পড়ে রয়েছে দুর্গত এলাকায় প্রায় দেড়শোর কাও ছাকাছি গরু, ছাগল। তাদের কথা ভেবেই ত্রাণ শিবির খুলেছে রামনগরের কয়েকজন যুবক। বিশেষ ত্রাণ শিবিরে এনে রাখা ও খাওয়ানোর পাশাপাশি গরুর নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছে। রয়েছে ওষুধের ব্যবস্থাও।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক পরিণতি! জমি থেকে ধান নিয়ে ফেরার পথে জমা জলে ডুবে মৃত্যু কৃষকের
একদল যুবক নিজেদের জমানো পয়সা ও পরিচিতদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে দুর্গত এলাকার অবলা পশুদের খাওয়ানোর কাজ করে চলছে। রামনগর বাজারে ছোট একটি দোকান চালান কৃষ্ণেন্দুবিকাশ কামিল্যা। তিনি এই উদ্যোগে শামিল। কৃষ্ণেন্দু জানান, “প্রথমে দুর্যোগের সময় যে সব গরুকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেই সব ছাড়া গরুদের ধরে এনে শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করি। এরপর আটকে পড়া গরুদের শিবিরে আনার জন্যে এলাকায় প্রচার করি। সোমবার ৩০টি গরু এসেছে। আরও গরু আসবে। এখন ট্যাংরামারি, জামড়া, পন্থেশ্বরী গ্রামে এখনও ১৫০টির বেশি গরু আটকে রয়েছে তাদেরও উদ্ধার করে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
রামনগর-১ ব্লকের বিডিও বিষ্ণুপদ রায় বলেন, “কয়েকজন যুবক মিলে গরুদের যে ত্রাণ শিবির চালাচ্ছে তাতে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। গরুদের জন্যে শেড করে দেওয়া হয়েছে ,খাওয়ার ও জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গরুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।”