Digha Tourism: বছর শেষে দিঘায় বেড়াতে গিয়ে এ কী কাণ্ড, ক্ষোভে ফুঁসছেন পর্যটকরা…

Digha: ওল্ড দিঘা তটশ্রী স্থায়ী ব্যবসায়ী সমন্বয় কমিটির ব্যানারে এদিন সৈকতে প্রশাসন বিরোধিতায় স্লোগান ওঠে।

Digha Tourism: বছর শেষে দিঘায় বেড়াতে গিয়ে এ কী কাণ্ড, ক্ষোভে ফুঁসছেন পর্যটকরা...
ক্ষোভে ফুঁসছেন পর্যটকরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 30, 2022 | 7:03 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: পর্যটকে ঠাসা সৈকত শহর দিঘা (Digha)। এরইমধ্যে পর্যটকদের সৈকতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে শুক্রবার চরম বাদানুবাদে তেতে ওঠে এলাকা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দিঘা ও মোহানা থানার পুলিশ। দিঘার সৈকত সংলগ্ন রাস্তায় বহু অস্থায়ী দোকান রয়েছে। পাশাপাশি দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের স্থায়ী দোকানও রয়েছে। স্থায়ী দোকানদারদের অভিযোগ, এই অস্থায়ী দোকানের পসরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থায়ী দোকানদাররা। তারই প্রতিবাদে, এদিন স্থায়ী দোকানিরা তাঁদের পসরা নিয়ে সৈকতে যাওয়ার রাস্তায় বসে অস্থায়ী দোকানের রমরমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। শুক্রবার তিনদিনে পড়ে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। এদিন এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে তুমুল শোরগোল শুরু হয় দিঘায়। একের পর এক সমুদ্রপারে যাওয়ার রাস্তা আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

ওল্ড দিঘা তটশ্রী স্থায়ী ব্যবসায়ী সমন্বয় কমিটির ব্যানারে এদিন সৈকতে প্রশাসন বিরোধিতায় স্লোগান ওঠে। কেন প্রশাসন যথার্থ ব্যবস্থা নিতে পারছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পাল্টা প্রশ্ন পর্যটকদের, এভাবে তাঁদের বিপাকে ফেলে আদৌ কি কোনও সুরাহা মিলবে? দুর্গানগর থেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন এক ব্যক্তি। তাঁর কথায়, “সমুদ্রধারে যেতে দিচ্ছে না। মানুষকে হেনস্থা করছে।”

আরেক পর্যটকের কথায়, “আমাদের সমুদ্রে যেতে দিচ্ছে না পর্যন্ত। আমাদের স্পষ্ট কথা, পর্যটকদের বিপাকে ফেলে কোনও লাভ হবে না। সুরাহা চাইলে পর্যটকদের সহযোগিতা করুন। ওদের কী সমস্যা অত শুনে আমরা কী করব। এত টাকা খরচ করে বেড়াতে এসে এখন ব্যবসায়ীরা সৈকতে যাওয়ার পথ আটকে দেবে, এটা কেউ কোনওদিন মেনে নিতে পারে?”

যদিও এক ব্যবসায়ী সুখেন্দু মাইতির কথায়, “যতক্ষণ না বেআইনি উচ্ছেদ হচ্ছে এটা আমরা চালিয়ে যাব। পর্যটকদের বসার জায়গা নেই। সেখানেও দোকান নিয়ে বসে পড়ছে। পর্যটকদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে এভাবে টাকা রোজগার আমরা মানছি না। আমাদের দোকানে বিক্রি নেই। অথচ হকার তুলে এই স্টল দেওয়া হয়েছিল। আমরা ভাড়া বা করের টাকা কিন্তু দিই। উন্নয়ন পর্ষদ সব দেখে কিছু বলছে না।”

যদিও এই ঝামেলা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবারই দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক মানসকুমার মণ্ডল বলেছিলেন, “ওদের সঙ্গে আলোচনা করে তো সবই মিটে গিয়েছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।”