Purnima Kandu: ‘কাকিমাকে খুন করা হয়েছে’, বিস্ফোরক অভিযোগ মৃত পূর্ণিমার দেওরপো মিঠুনের
Purnima Kandu: শুক্রবার রাতে পূর্ণিমা কান্দুর ছেলে ও মেয়ে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিল। তারা ফিরে এসে দেখে মা ঘুমোচ্ছে। ডাকাডাকি করার পর না ওঠায় প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পূর্ণিমাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুরুলিয়া: ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তাঁর দেওরপো মিঠুন কান্দুর। শনিবার মিঠুন অভিযোগ করেন, তাঁর কাকিমাকে খুন করা হয়েছে। স্লো পয়জন দিয়ে মারা হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো বলছেন, তাঁরাও চান মৃত্যু প্রকৃত কারণ সামনে আসুক। এদিনই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়েছে।
গতকাল রাতে পূর্ণিমা কান্দুর ছেলে ও মেয়ে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিল। তারা ফিরে এসে দেখে মা ঘুমোচ্ছে। ডাকাডাকি করার পর না ওঠায় প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পূর্ণিমাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বছর বিয়াল্লিশের পূর্ণিমা কান্দুর স্বামী তপন কান্দু ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন। ২০২২ সালের মার্চে পুরসভার নির্বাচনের কয়েকদিন পরই তপনকে গুলি করে খুন করা হয়। এই খুন নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়। সিবিআই তদন্তে নামে। পূর্ণিমাও ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন।
তপন কান্দুর জেতা ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন তাঁর ভাইপো মিঠুন কান্দু। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন তিনি অভিযোগ করেন, তপন কাকু কাউকে টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তাঁর কাকিমা। টাকা ফেরত যাতে না দিতে হয়, সেজন্য স্লো পয়জন দিয়ে কাকিমাকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “লিখিতভাবে অভিযোগ জানাব। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এই মৃত্যুর পিছনে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই।”
মিঠুনের অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, “মিঠুন যে দাবি করেছে নিশ্চয় কিছু জানে। আমরা চাইব প্রকৃত তদন্ত। হঠাৎ করে তিনি মারা গেলেন। তপন কান্দু খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আবেদনকারী ছিলেন পূর্ণিমা। ফলে তাঁর মৃত্যুও নিশ্চয় সিবিআই দেখবে।” ময়নাতদন্তের জন্য বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠনের দাবি জানান।