Purulia: চোয়ালে টিউমার, তা থেকে ক্যান্সার! ৯৫ বছর বয়সেও সফল জটিল অস্ত্রোপচার

Purulia: সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রুগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৭দিন ধরে তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। শারীরিক অবস্থা উন্নতি হলে বুধবার সকালে পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজের হতোয়ারা ক্যাম্পাসে অপারেশন হয়।

Purulia: চোয়ালে টিউমার, তা থেকে ক্যান্সার! ৯৫ বছর বয়সেও সফল জটিল অস্ত্রোপচার
৯৫ বছর বয়সেও জটিল অস্ত্রোপচারImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2024 | 4:40 PM

পুরুলিয়া: ৯৫ বছর বয়সে জটিল রোগ। চোয়ালে টিউমার। এই বয়সে সেই অস্ত্রোপচার অত্যন্ত জটিল। আর সেটাই সফল করলেন পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

পুরুলিয়ার ১নম্বর ব্লকের লাগদা গ্রামের বাসিন্দা ৯৫ বছরের বৃদ্ধা বিভারানি মজুমদার। তাঁর চোয়ালে একটি টিউমার হয়. চিকিৎসকের কাছে যান পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক ডক্টর পবন মণ্ডল তাঁকে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বলেন। টেস্ট রিপোর্ট আসার পর রিপোর্টে দেখা যায় টিউমারটি ক্যান্সারে পরিণত হয়। চিকিৎসক পরিবারের সঙ্গে কথা বলে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বাধ সাথে বিভার শারীরিক অবস্থা।

সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রুগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৭দিন ধরে তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। শারীরিক অবস্থা উন্নতি হলে বুধবার সকালে পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজের হতোয়ারা ক্যাম্পাসে অপারেশন হয়। কিন্তু সেখানেই আইসিইউ না থাকায় গ্রিন করিডর করে পুরুলিয়া শহরের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয় বিভাকে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

বিভার নাতবউ সারাক্ষণই ছিলেন তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন,  “ডাক্তারবাবুই সব ব্যবস্থা করেছেন। প্রশাসন খুবই সাহায্য করেছে। প্রত্যন্ত এই গরিব জেলায় এরকম ব্যবস্থা থাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ দফতরকে ধন্যবাদ।”

তিনি বলেন, “এই চিকিৎসা করতে গেলে বাইরে যেতে হতো, সেটা আমরা এখানেই পেলাম।”  চিকিৎসক পবন মণ্ডল বলেন, ” ১০০বছরের কোঠায় এসে শরীরে যে যে সমস্যা ছিল, সেগুলো অতিক্রম করে গালের দান দিকে যে ক্যান্সার ছিল। সেটা ১সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষণ করে পরিমিত করে এছাড়াও যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল। সবই নেওয়া হয়েছে, উনি অপারেশনে আনফিট ছিল, অবশেষে সকালে অপারেশন করে আপাতত চোখের দৃষ্টিতে বা সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে যা রয়েছে তা শরীর থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, উনি এখন সুস্থ রয়েছেন।”

পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজের হতোয়ারা ক্যাম্পাস আর সদরের ক্যাম্পাসের দূরত্ব ১২কিলোমিটার। মাঝ খানে রেলগেট পড়ায় চিকিৎসক পবন মণ্ডল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আগেই গ্রিন করিডরের জন্য আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ সেই আবেদনে সারা দিয়ে গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থা করেন।