Bishnupur: জল আনতে গিয়েছিল ছেলেটা, সুইচে হাত পড়তেই শেষ ২২ বছরের প্রাণ
মৃতের বাবা সঞ্জিত ঘোড়ুই বলেন, "ছেলেটা সকালে জল আনতে গিয়েছিল। সোলার সিস্টেমের ছাউনি খুলে নিয়েছিল। আর সারারাত বৃষ্টির জল পড়ে ওইটা পুরো কারেন্ট হয়ে ছিল। ছেলেটা জল আনতে গিয়েছিল দুুপুরে। সুইচ মারার সঙ্গে-সঙ্গে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়। এ যা ঘটনা ঘটল আমাদের সঙ্গে আর কোনও বাবা-মাকে তাঁর যেন সন্তানকে হারাতে না হয়।"

বিষ্ণুুপুর: সোমবার রাতেও সবটা ঠিক ছিল। সুস্থ-সবল ছেলেটা রাতের বেলা ভাত খেয়ে ঘুমিয়েও পড়েছিল। কিন্তু কপালে যে এত বড় বিপদ লেখা ছিল কে জানত! জল কেড়ে নিল টাটকা-তাজা প্রাণ। খাবার জল আনতে গিয়ে বিদ্যুতস্পষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বছর বাইশে আনিস ঘোড়ুইয়ের। পরিবারের লোকজন এই ক্ষতি মানতে পারছে না কিছুতেই। ছেলেটা এই ভাবে অকালে চলে যাবে তা ভেবেই উঠতে পারছেন না।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রামকান্তপুরের বাসিন্দা অনীশ। বাবার নাম সনজিত ঘোড়ুই। পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন বছর বাইশের ছেলেটা। সোমবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারও থামেনি সেই বৃষ্টি। চারদিকে জমে ছিল জল আর জল। মঙ্গলবার দুপুরে সেই জমা জল পেরিয়ে কলে জল আনতে যান আনিস। সেখানেই বিদুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। পাড়ার লোক দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের বাবা সঞ্জিত ঘোড়ুই বলেন, “ছেলেটা সকালে জল আনতে গিয়েছিল। সোলার সিস্টেমের ছাউনি খুলে নিয়েছিল। আর সারারাত বৃষ্টির জল পড়ে ওইটা পুরো কারেন্ট হয়ে ছিল। ছেলেটা জল আনতে গিয়েছিল দুুপুরে। সুইচ মারার সঙ্গে-সঙ্গে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়। এ যা ঘটনা ঘটল আমাদের সঙ্গে আর কোনও বাবা-মাকে তাঁর যেন সন্তানকে হারাতে না হয়।”
