ভ্যাকসিন পাননি, অথচ মিলেছে প্রথম ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেট!

Vaccine: এমনকি কোভ্যাক্সিন টিকার ব্যাজ নম্বর ও স্বাস্থ্যকর্মীর নামেরও উল্লেখ রয়েছে শংসাপত্রে। পুরো বিষয়টি দেখে কার্যত হকচকিয়ে যান ওই ছাত্রী ও তাঁর পরিবার। উত্তর নেই স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছেও।

ভ্যাকসিন পাননি, অথচ মিলেছে প্রথম ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেট!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jul 02, 2021 | 6:30 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে (Fake Vaccine) টিকার নেওয়ার পরও মেসেজ আসেনি। এবার টিকা না নিয়েও মিলল মেসেজ। সরকারি ওয়েবসাইটে ভ্যাকসিনের (Vaccine) জন্য আবেদনের করেছিলেন এক ছাত্রী। কোভিড ভ্যাকসিন পাননি অথচ পৌঁছে গিয়েছে প্রথম ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেট! এমন ঘটনায় কার্যত হতবাক ওই কলেজ পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার অক্ষয়নগরের বাসিন্দা রিঙ্কি বেরা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ফার্মের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। তনি জানান, গত বৃহস্পতিবার কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমে ১৮ বছরের বয়সী উর্ধ্ব বিভাগে ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন জানান তিনি। এই আবেদনের ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। স্থানীয় বীরেন্দ্র বিদ্যা নিকেতনে ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে প্রথম ডোজ নেওয়ার মেসেজ চলে আসে রিঙ্কির মোবাইলে। ভ্যাকসিনের জন্য যেখানে হাহাকার, সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভ্যাকসিন পাওয়ার মেসেজে বেশ খুশি হন ওই পড়ুয়া।

সেইমত এদিন ওই স্কুলের ভ্যাকসিন সেন্টারে যান রিঙ্কি। কিন্তু ওখানে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাননি তিনি। এমনকি ওই স্কুলে কোন কোভিডের ভ্যাকসিন সেন্টার নেই বলে জানতে পারেন। বেশ অবাক হয়েই বাড়ি ফেরেন। কিন্তু বিস্ময়ের তখনও বাকি। এদিন বেলা ২টো নাগাদ তাঁর মোবাইলে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার এসএমএস আসে। পাঠানো হয় প্রথম ডোজের সার্টিফিকেট। এমনকি কোভ্যাক্সিন টিকার ব্যাজ নম্বর ও স্বাস্থ্যকর্মীর নামেরও উল্লেখ রয়েছে সেখানে। পুরো বিষয়টি দেখে কার্যত হকচকিয়ে যান ওই ছাত্রী ও তাঁর পরিবার।

আরও পড়ুন: ‘নিজেদের দোষ ঢাকতে আমায় পাগল বলছিল’, জোড়া ডোজ় নেওয়া সুজিতবাবুর পাশে চিকিৎসকেরা 

তড়িঘড়ি কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। কিন্তু তিনিও এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এর পর শুক্রবার কাকদ্বীপের বিএমওএইচের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রিঙ্কি।