Theft Case: কলকাতা পুলিশ সার্জেন্টের বাড়িতে চুরি! আতঙ্কে এলাকার সাধারণ মানুষ
Theft Case: গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
কলকাতা: চোরের উপদ্রব কোন পর্যায়ে পৌছালে এমন কাণ্ড হয়! খোদ পুলিশকর্মীর বাড়িতেই চুরি! ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। সেখানে বোরাপুর চক্রবর্তী পাড়ায় বাড়ি পুলিশ সার্জেন্ট গণেশ চক্রবর্তীর। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বাড়িতে ছিলেন না তিনি। পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন হরিদ্বারে। চলতি মাসের ১ তারিখে গিয়েছিলেন। আজ, অর্থাৎ ৬ মার্চ বাড়ি ফেরার কথা। এতদিন গোটা বাড়ি ফাঁকাই পড়ে ছিল। আর সেই সুযোগেই ফাঁকা বাড়ি পেয়ে হাতের সামনে যা পেয়েছে তাই নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোর। সবমিলিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার সামগ্রী খোয়া গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে খোদ পুলিশ সার্জেন্টের বাড়িতে চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্র মারফত ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, গণেশ চক্রবর্তী নামে ওই পুলিশ সার্জেন্ট বাবা-মাকে নিয়ে ১ মার্চ হরিদ্বারে গিয়েছিলেন। বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাইরে থেকে বাড়ি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। গণেশবাবুর বাড়ির চাবি রাখা ছিল তাঁর দাদা কার্তিক চক্রবর্তী কাছে। আজ তাঁরা ফিরবেন বলে বাড়ির পরিচারিকা কার্তিক চক্রবর্তীর থেকে চাবি নিয়ে পুলিশ সার্জেন্টের বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে আসেন। পরিচারিকা বাড়ির তালা খুলে ভিতরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ। ঘরের ভিতর সব জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। লন্ডভন্ড অবস্থা চারিদিকে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান কার্তিক চক্রবর্তীর কাছে। তাঁদের ডেকে আনেন পুলিশ সার্জেন্টের বাড়িতে।
কার্তিক চক্রবর্তী সেখানে গিয়ে বিষয়টি দেখামাত্রই তাঁর ভাইকে বিষয়টি জানান। গণেশ চক্রবর্তী বিষ্ণুপুর থানায় ফোন করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এলাকার একটি জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য পাড়ার সকলে মিলে একটি তহবিল গঠন করেছিলেন। সেই ফান্ডের টাকা ছিল গণেশ চক্রবর্তীর কাছে। ফান্ডের টাকার অঙ্ক প্রায় দেড় লাখ।এর পাশাপাশি বেশ কিছু সোনার গহনা ও অন্যান্য সামগ্রীও চুরি গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার সামগ্রী পুলিশ সার্জেন্টের বাড়ি থেকে চুরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।