Cyclone Mocha: বঙ্গোপসাগর থেকে এগোচ্ছে মোখা, কতটা আতঙ্কে সুন্দরবন?
Cyclone Mocha: যে সমস্ত মৎস্যজীবী নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁদেরকে দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ক্যানিং: রণংদেহী মূর্তি নিয়ে ক্রমশ বঙ্গোপসাগর থেকে এগোচ্ছে সাইক্লোন মোখা। সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী এলাকায় ঝড়খালি কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে সচেতন করতে মাইকে প্রচার শুরু হল। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৪ মে অর্থাৎ রবিবার বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মাঝে আছড়ে পড়বে মোখা। তারই প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সুন্দরবন উপকূল এলাকায়। সেই কারণে বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে নদী তীরবর্তী এলাকার সচেতন করা হচ্ছে।
সচেতন করা হচ্ছে মৎস্যজীবী ও পর্যটকদেরও। যে সমস্ত মৎস্যজীবী নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁদেরকে দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সচেতন করা হচ্ছে সমস্ত পর্যটকদের।
সেইসঙ্গে কুলতলি থানার কৈখালি পর্যটন কেন্দ্র লাগোয়া মাতলা নদীতে এনডিআরএফ-এর পক্ষ থেকে মকড্রিলও করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সঙ্গে নদী তীরবর্তী এলাকায় গ্রামে করা হয় মাইকিং। কুলতলি ব্লকের মৈপিঠ উপকূল থানার পক্ষ থেকেও এলাকার মানুষকে সাবধান করতে চলছে মাইকে প্রচার। উপকূলীয় গ্রামগুলির পাশাপাশি নদীপথে ও লঞ্চের মাধ্যমে কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে ভূ-ভাগে আছড়ে পড়বে মোখা। শুক্রবার রাতেই চরম তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এটি। শনিবার সকালে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে যা ৭৩০ কিলোমিটার দূরে। দিনভর উত্তর-উত্তরপূর্ব অভিমুখে এগোবে মোখা।