Canning TMC MLA: চোর সন্দেহে মার, মৃত্যু যুবকের, কাশেম গিয়ে পরেশরামকে বললেন, ‘মৃতের পরিবারকে চাকরি দিতে’
এবার এই ঘটনায় ক্যানিং থানার পুলিশের সঙ্গে শুক্রবার ক্যানিং থানায় কথা বলতে আসেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কাশেম সিদ্দিকি। ক্যানিং থানায় এসে তিনি ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক পরেশ রাম দাসকে একহাত নেন।

ক্যানিং: চোর সন্দেহে গাছে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ। ঘটনায় মৃত্যু হয় যুবকের। এই বিষয়েই ক্যানিং থানায় কথা বলতে আসেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কাশেম সিদ্দিকি। সেখান থেকেই বিধায়ক পরেশরাম দাস-কে একহাত নিয়েছেন তিনি।
দিন কয়েকদিন আগে ক্যানিং থানার তালদি এলাকায় শেখ জামিলউদ্দিন নামের এক যুবককে চোর সন্দেহে ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে মারধর ও পায়ে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছিল কয়েকজন যুবক। সেই নির্যাতনের ভয়ঙ্কর সিসিটিভি ফুটেজ রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। মারধরের ঘটনায় মৃত্যু হয় ওই যুবকের। পুলিশ চারজনকে চিহ্নিত করলেও দু’জনকে প্রথম দিনেই গ্রেফতার করেছিল।
এবার এই ঘটনায় ক্যানিং থানার পুলিশের সঙ্গে শুক্রবার ক্যানিং থানায় কথা বলতে আসেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কাশেম সিদ্দিকি। ক্যানিং থানায় এসে তিনি ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক পরেশ রাম দাসকে একহাত নেন।তার পাল্টা স্বরূপ কাশেম সিদ্দিকির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাসও।
রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কাশেম সিদ্দিকি বলেন, “ওসির সঙ্গে কথা বলি। উনি জানালেন দুজন গ্রেফতার হয়েছে। আমি বলেছি কড়া শাস্তি দিন। এখানকার এমএলএ (MLA) অন্যায় করেছে। এটা তো ওঁর বাড়ির পাশে উনি গেলেন না। বিরাট অন্যায় করেছে। এই অন্যায় আগামী ছাব্বিশে ভুগতে হবে। আমি বলব, এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়িতে যান। ওদের মা-বোনের পাশে থাকুন। একটা চাকরি করে দিতে হবে।” তৃণমূলের ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস বলেন, “যে ছেলেটা মারা গেছে তার পরিবার আমায় ফোন করে। প্রশাসনকে বলেছি। চারজন গ্রেফতার হয়। দল পুরোটা জানে। আমাদের রাজ্যে এই ঘটনা প্রশ্রয় দিই না। কাশেম কী বলেছেন তাতে জানতে চাই না। দল ব্যবস্থা নেবে। আর কাশেম তৃণমূল করছে নাকি অন্য় দল করছে বলতে পারব না। এই ধরনের লোক আমাদের দলে ঢুকে খারাপ করার চেষ্টা করছে।”
