Panic Of Fisherman: শক্তি হারাচ্ছে অশনি, তবুও ক্ষতির আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন মৎস্যজীবীরা
Panic Of Fisherman: যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শক্তি হারাতে শুরু করেছে অশনি। সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোচ্ছে অশনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অশনির পূর্বাভাসে মৎস্য চাষে ক্ষতির আশঙ্কা দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড় জীবনতলার মৎস্য চাষিদের। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষত এখনও দগদগে। স্বাভাবিক ছন্দে সবে ফিরছে ভাঙড়-জীবনতলার মাছ চাষিরা। ঠিক তখনই ‘অশনির’ ভ্রূকুটি। ফলে ক্ষতির আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছেন বামনঘাটা, বেঁওতা, জীবনতলা,বেহুলাবাড়ি-সহ একাধিক এলাকার মাছ চাষিদের।
ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ সাধারণ মানুষ মাছ চাষের উপর নির্ভর করে সংসার অতিবাহিত করেন। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যানিং পূর্ব ২১৪৯৩ হেক্টর জমির উপর অবস্থিত। যার প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আছে মেছো ভেরি। সরাসরি মাছ চাষ, জমি লিজে নিয়ে মাছ চাষ, মেছ ভেরিতে কাজ, খুচরো ও পাইকারি মাছের ব্যবসা করে অধিকাংশ মানুষ জীবন নির্বাহ করেন এই এলাকায়।
পাশ্ববর্তী মাতলা ও বিদ্যাধরী নদী থাকায় এই এলাকায় রুই, কাতলা, মৃগেলের পাশাপাশি বাগদা,গলদা,পাবদা-সহ একাধিক নোনা জলের মাছ উৎপাদিত হয়। ফলে মাছ চাষ এই এলাকার অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে এক একজন মৎস্য চাষিরা বিঘা প্রতি পাঁচ লক্ষ থেকে দশ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ফলে আগত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়লে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে জানাচ্ছেন মাছ চাষিরা। মৎস্য চাষিদের কথা মাথায় রেখে সব রকম দিকে সতর্ক থাকা হচ্ছে বলে জানান প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শক্তি হারাতে শুরু করেছে অশনি। সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোচ্ছে অশনি। অন্ধ্র উপকূলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে উপকূলে। তবে ল্যান্ডফল হবে না। স্থলভাগে ঢুকে পড়ার আগেই উত্তর-পূর্ব অভিমুখে বাঁক নেবে অশনি। মছলিপত্তনম, কাকিনাড়া, টুনি, বিশাখাপত্তনম উপকূল বরাবর এগিয়ে যাবে ওড়িশা উপকূলের দিকে। কাল সকালের মধ্যে আরও শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়।