Sonarpur Crime: পিসেমশাইয়ের কাছে দুই ছেলেকে রেখে কাজে গিয়েছিল মা, ৩-৪ বছরের বাচ্চাগুলোর সঙ্গেও নৃশংস ঘটনা
Sonarpur Crime: তাঁরা যতক্ষণে এসে দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন, ততক্ষণে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়। প্রথমে প্রসেনজিৎ বিষয়টি মানতে রাজি হয়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পিসেমশাইয়ের কাছে দুই শিশুপুত্রকে রেখে কাজে গিয়েছিলেন মা। রাতে ফিরতে দেরি হয়েছিল। এদিকে খিদের জ্বালায় কান্না শুরু করেছিল তিন বছরের বাচ্চা ছেলেটা। পিসেমশাই সেই কান্না সহ্য করতে পারেননি। নৃশংসকাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন তিনি। তিন বছরের বাচ্চাকে দেওয়ালে মাথা ঠুকে, তারপর গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানা এলাকার বেনিয়া বউ এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি আরও এক তিন বছরের শিশু। অভিযুক্তকে রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম প্রসেনজিৎ মণ্ডল।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই শিশুকে পিসেমশাইয়ের হেফাজতে রেখে কাজে গিয়েছিলেন তাদের মা। রাতে খাওয়ার না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। এতেই রেগে যান প্রসেনজিৎ। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এমনিতেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকেন প্রসেনজিৎ। মঙ্গলবার রাতেও ছিলেন।
জানা যাচ্ছে, কান্নাকাটি করায় দুই শিশুর মাথা ঠুকে দেয়। ব্যথা লাগায় আরও কান্নাকাটি করে দুই শিশু। তাদের গলা টিপে ধরেন অভিযুক্ত। বাচ্চাগুলোর কান্না শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশী। শিশুদের এইভাবে মারধর করার আওয়াজ শুনে বিষয়টি বাড়ির মালিক হান্নান মণ্ডলকে জানান প্রতিবেশীরা।
তাঁরা যতক্ষণে এসে দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন, ততক্ষণে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়। প্রথমে প্রসেনজিৎ বিষয়টি মানতে রাজি হয়নি। তারপর জোর করে দরজা খুলে তারা ভিতরে ঢুকে দেখেন কাঁথা মুড়ি দিয়ে দু’জনকে শোয়ানো ছিল। খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়।
পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে দুই শিশুকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।